‘চাক্তাই খালকে নালায় পরিণত করার অধিকার কারো নেই’

22

আইনজীবী ভবনের বার লাইব্রেরি দ্বিতীয় তলায় প্রবীণ আইনজীবীদের নিয়ে চট্টগ্রাম গণ-অধিকার ফোরামের আলোচনা সভা ১১ মার্চ দুপুর ১২টায় গণ-অধিকার ফোরামের উপদেষ্টা প্রবীণ আইনজীবী মোহাম্মদ কবির চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। গণ-অধিকার ফোরামের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট জহিরুল আলমের পরিচালনায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন প্রবীণ আইনজীবী অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অ্যাডভোকেট হৃদয়রঞ্জন দাশ, প্রবীণ আইনজীবী মোহাম্মদ আজমল হক, প্রবীণ আইনজীবী দীপক চৌধুরীসহ আইনজীবীবৃন্দ। আলোচনায় গণ-অধিকার ফোরামের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, মহাসচিব এম এ হাশেম রাজু, ভাইস চেয়ারম্যান আবু মো. হোসেন চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমদুর রহমান খান, যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, সহকারী মহাসচিব মোহাম্মদ জানে আলম, অধিকার বিষয়ক সম্পাদক ওসমান জাহাঙ্গীর, কেন্দ্রীয় সদস্য মোহাম্মদ জহির উদ্দিন, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, আবদুল আউয়াল বাবু প্রমুখ অংশ নেন। আইনজীবী কবির চৌধুরী বলেন, কার স্বার্থে বহদ্দারহাটের চাক্তাই খালের অংশ বিদ্যালয়ের পাশে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। এটাই এখন নগরবাসীর প্রশ্ন। মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বর্তমানে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা সংকট প্রকট আকার ধারণ করবে এমন উৎকন্ঠায় নগরবাসী ও নদী গবেষকরা। এমনিতেই নগরীর নদী-নালা ও খালগুলোর যে হ-য-ব-র-ল অবস্থা, তাতে বর্ষা মৌসুমতো দূরের কথা সামান্য বৃষ্টিপাতেই বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ছে। নগরবাসীর বৃহত্তর স্বার্থে পরিস্থিতির ভয়াবহতা অনুধাবনের মাধ্যমে অনতিবিলম্বে চাক্তাই খালের বহদ্দারহাট পুলিশ বক্সের পার্শ্বের অংশে খালের উপর রাস্তা নির্মাণকাজ বন্ধ করে নির্মাণকৃত অংশ অপসারণ করে খাল মুক্ত করতে হবে। এম এ হাশেম রাজু বলেন, কর্ণফুলী নদীর ও নদী-সংলগ্ন খালের গতিপথ স্বাভাবিক রাখতে ২০১০ সালের জুলাই মাসে কর্ণফুলী নদী দখল, মাটি ভরাট ও নদীতে যে কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। কিন্তু কার স্বার্থে এই খালকে সরু করে নালায় পরিণত করা হচ্ছে তা জানতে চায় নগরবাসী। এই খালকে নালায় পরিণত করার অধিকার কারও নাই। বিজ্ঞপ্তি