চাকসু নির্বাচন দিতে বেশি দেরি হবে না

1

চবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন দিতে খুব বেশি দেরি করা হবে না বলে জানিয়েছেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড মোহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যেসব দাবি জানিয়েছে তা আমাদেরই দাবি। তারা চাকসু নির্বাচন চেয়েছে তা আমাদের মাথায় আছে। আমরা চাকসু নির্বাচন দিতে বেশি দেরি করব না। কিন্তু লাশ ফেলার রাজনীতি, টর্চার সেলের রাজনীতি আমরা এলাও করব না। আমরা এ নিয়ে কাজ করতেছি কীভাবে কী করা যায়। এ বিষয়ে সিন্ডিকেটে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
গতকাল সোমবার ৫৯তম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি আরো বলেন, ‘আমি আত্মসমালোচনার মধ্য দিয়ে উন্নয়নে বিশ্বাসী। এতক্ষণ আপনারা দেখলেন গত ৩ মাসে আমরা কি কাজ করেছি। গত ৫৯ বছরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে পারিনি। আমরা মানসম্মত লাইব্রেরি, উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্র, লেজরবৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ এবং শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শিক্ষার্থীবান্ধব হিসেবে নিজেদেরকে গড়ে তুলতে পারিনি। তবে এখন নতুন বাংলাদেশে সবকিছু নতুন করে শুরু করতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয়কে বৈশ্বিক মানে উন্নীত করতে চাই।’ এদিন বর্ণাঢ্য আয়োজনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৫৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল আনন্দ শোভাযাত্রা, কেক কাটা, আলোচনা সভা ও স্মৃতিচারণ। সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। এরপর জিরো পয়েন্ট থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়ে শহীদ মিনার, লাইব্রেরি জারুল তলা প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সকাল সাড়ে ১০টায় কেক কাটা হয়। এরপর সকাল ১১টা ১৫ মিনিট আলোচনা সভা ও স্মৃতিচারণ পর্ব শুরু হয়। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চবি উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন খান বলেন, ‘যে লক্ষ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়েছিল, সেই লক্ষ্য গত ৫৯ বছরে বাস্তবায়ন হয়নি। আজকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঙ্খিত লক্ষ্য পূরণে আমরা নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করবো। আমরা প্রধান উপদেষ্টার নিকট দাবি জানাচ্ছি, আপনি একসময় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। এখানে শিক্ষকতাও করেছেন। শিক্ষার্থীদের সুবিধার স্বার্থে আপনি শহর থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত স্বতন্ত্র সড়ক নির্মাণ করে দেন এবং অতিরিক্ত বাজেট দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে সম্পূর্ণ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে দেন।’
এসময় চবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, সিন্ডিকেট সদস্য ড. অধ্যাপক ড. নঈম উদ্দিন হাসান আওরঙ্গজেব, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল আমীন, ছাত্র উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন।
এছাড়া বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্ট এবং শিক্ষকবৃন্দ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কসহ আরো অনেকে বক্তব্য প্রদান করেন।