চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে ফাঁসিয়ে দিয়েছেন ওসি!

1

নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরিফুর রহমানের বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীকে একের পর এক মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। ১০ লাখ টাকা চাঁদা চেয়ে না পাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তার বিরুদ্ধে একটি চুরি, একটি মারামারি এবং তিনটি হত্যা মামলায় তাকে ফাঁসানো হয়েছে। গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ঐ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রাজুর স্ত্রী নারগিছ আক্তার।
সংবাদ সম্মেলনে নারগিছ আক্তার বলেন, তার স্বামী গার্মেন্টসের জুট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রাজুর কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে বোরহান, সালামত উল্লাহ, টিপু, মঞ্জু ও রুবেল। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় গত ১৪ ডিসেম্বর নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে থেকে তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা। পরে ১০ লাখ টাকা চাঁদা পরিশোধের শর্তে চোখ বেঁধে রাতের আঁধারে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যায়। ১৫ ডিসেম্বর রাতে অপহরণের সঙ্গে জড়িতদের নাম উল্লেখ করে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় একটি মামলা রুজু করেন। এ ঘটনায় তার স্বামী ২৪ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশের মামলা বাণিজ্যের কথা তুলে ধরেন। এরপর থেকেই ক্ষিপ্ত হয়ে বায়েজিদ থানার ওসি উল্টো রাজুর বিরুদ্ধে একের পর এক মামলায় তাকে ফাঁসিয়ে দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, ওসি মোহাম্মদ আরিফুর রহমান তার স্বামীর কাছে আপোষের নামে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে মামলা দিয়ে হয়রানি করবে বলেন। তিনি চাঁদা না পেয়ে আলমগীর নামের এক ব্যক্তিকে দিয়ে বায়েজিদ থানায় একটি চুরির মামলা করেন। ২৩ এপ্রিল পুলিশ ওই মামলায় রাজুকে ধরে নিয়ে যায়। পরে ওই মামলার বাদি নিজে আদালতে আপোষনামা দেন। আদালত রাজুকে দায়মুক্তি দেন।
তিনি অভিযোগ করেন, রাজু জেলহাজত থেকে যেন বের হতে না পারে সেজন্য ওসি আরিফ চান্দগাঁও থানার একটি রাজনৈতিক হত্যা মামলায় আটক দেখানোর জন্য আবেদন করান। আদালত সবকিছু দেখে মো. রাজুকে আটক না দেখিয়ে মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেন। এরপর তার স্বামীকে পাঁচলাইশ থানার রাজনৈতিক ৩টি হত্যা মামলায় আটক দেখানোর জন্য আবেদন করা হয়। ওই মামলাগুলোতে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী রাজুর ছেলে নাজমুল হাসান নঈম ও ছোট ভাই আমজাদ উপস্থিত ছিলেন।