চসিকের দেনা শূন্যের কোটায় নিয়ে আসব

2

সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ৪৫০ কোটি টাকা দেনা নিয়ে আমি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন’র (চসিক) দায়িত্ব শুরু করেছি। সব পজিটিভ অ্যাটিটিউড নিয়ে আমি কাজ করার চেষ্টা করছি। চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে আমি ভালোবাসি। আমি মনে করি, ৪৫০ কোটি টাকা দেনা আমার উপর আছে, আপনারা আমাকে একটু সাহায্য করবেন, এতে আমি শূন্যের কোটায় নিয়ে আসবো- ইনশাল্লাহ।
তিনি গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় নগরীর থিয়েটার ইন্সটিটিউটে চন্দনাইশ মিডিয়া ক্লাবের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। চন্দনাইশের কৃতি সন্তান ডা. শাহাদাত মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় চন্দনাইশ মিডিয়া ক্লাবের উদ্যোগে এ নাগরিক সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, বন্দর আমাকে মাত্র ৩৫ থেকে ৪০ কোটি টাকা দিচ্ছে। অথচ এ পোর্টের ১ ভাগ মাসুলও যদি আমি পাই, তাহলে প্রতি বছর দেড়শ থেকে ২০০ কোটি টাকায় যেত। যেটা আমার পাওনা। পোর্টের সাথে আগে যারা ছিলেন, তারা হয় তো উল্টাপাল্টা কিছু করে সিটি করপোরেশনকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এভাবে প্রতিটি সেবা প্রদানকারী সংস্থা থেকে তারা কম কম টাকা নিয়ে নিজের আখের গুছিয়েছে। আজকে আমাদের সময় এসেছে। আমি নগরবাসীকে অনুরোধ করবো, আপনাদের উপর সিটি করপোরেশনের যে হক আছে, সেটা আপনারা দিয়ে দিবেন।
তিনি বলেন, আপনারা কোনভাবে মনে করবেন না, আপনাদের উপর আমরা করের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছি। আপনারা আগে যেটা দিয়েছেন, তার থেকে ১০ বা ২০ ভাগ বাড়তে পারে। ২০০ ভাগ নয়, এটা অযৌক্তিক। আর আমি ওই জিনিসটা কম্পেয়ার করছি। ধরেন আপনি যে ভাড়াটা চকবাজার পাচ্ছেন, আর খুলশীতে যেটা পাবেন সেটি তো এক হতে পারে না। এ বিষয়গুলো আওতায় আনতে কাজ করছি।
চসিক নিয়ে নানা পরিকল্পনার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, এ শহরটা আসলেই খুবই সুন্দর। আজকে আমি অনেক জায়গায় গিয়েছি, আমার আরেকটা স্বপ্ন আছে, আমাদের এ নগরীকে পর্যটন নগরীতে পরিণত করা। যাতে জিডিপিতে আমরা কিছু অবদান রাখতে পারি। আমি আজকে একটি জায়গা দেখেছি, সেটি পর্যটনের জন্য খুবই উপযুক্ত। সেটি আমরা যদি পাই, একটি সুন্দর পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করবো।
তিনি বলেন, আশা রাখি আপনারা সবাই আমার সাথে থাকবেন। আমি সবাইকে নিয়ে একটি ক্লিন সিটি গ্রীন সিটি চট্টগ্রামবাসীকে উপহার দিব। আমার অত্যন্ত মনের ইচ্ছা সিটি কর্পোরেশনের পরিধি বাড়ানোর। আমি দেখেছি উত্তর দক্ষিণে আরও কিছু জায়গা আছে, যা সিটি কর্পোরেশনে নিতে পারি।।
চন্দনাইশ মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি জামশেদুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এম এ হোসাইনের পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্সের সহ সভাপতি এ এম মাহবুব চৌধুরী, ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি মাকসুদুর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, লেখক, কবি ও সাহিত্যিক অভিক ওসমান, চন্দনাইশ সমিতির সভাপতি আবু তাহের চৌধুরী, মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ, রাজনীতিবিদ স ম আবদুস সামাদ, চন্দনাইশ দুর্নীতি প্রতিরো কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলাম রাহী। বক্তব্য রাখেন মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহেদুল কবির চৌধুরী, নিউজ গার্ডেনের সম্পাদক কামরুল হুদা, অপর্ণা চরন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল, ডায়মন্ড সিমেন্টের জিএম আবদুর রহিম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক পরিচালক নুরুল হাদী চৌধুরী, রাজনীতিবিদ সিরাজুল ইসলাম, চসিক ঠিকাদার সমিতির সভাপতি আবু ছালেহ, চসিক শ্রমিক সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের, সংগঠক হারুনুর রশিদ রানা, মিডিয়া ক্লাবের সহ সভাপতি পূরবী দাশ, অর্থ সম্পাদক গোলাম সরওয়ার, সদস্য দেবজৌতি চক্রবর্তী, সাইফুল ইসলাম, মুজিবুল হক, সায়মন আল মুরাদ, হাবীবুর রহমান, সাংবাদিক আবিদুর রহমান বাবুল, নাসির উদ্দীন বাবলু, নুরুল আলম মাস্টার, এড. দেলোয়ার হোসেন, সৈয়দ শিবলী সাদিক কফিল প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি