নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে র্যাবের বিশেষ অভিযানে ২১ জন দালালকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড ও অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলা এ অভিযানে হাসপাতালের গাইনি, শিশু ও অন্যান্য ওয়ার্ডে তল্লাশি চালানো হয়।
র্যাব-৭ এর একটি দল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহেদ ইশরাকের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চলাকালে মোট প্রায় ৭০ জনকে আটক করা হয়। যাচাই-বাছাই শেষে ২১ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল হাফিজুর রহমান জানান, গ্রেপ্তার ২১ জন দালালের মধ্যে বেশ কয়েকজন আগেও একই অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত ছিলেন। তাঁরা কারাগার থেকে বেরিয়ে ফের একই অপরাধে জড়িয়েছেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহেদ ইশরাক বলেন, আটকদের অপরাধের ধরন অনুযায়ী ১ থেকে ৩০ দিনের কারাদন্ড ও অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে। একাধিকবার ধরা পড়া ব্যক্তিদের অতিরিক্ত শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
সূত্র মতে, দালালরা দীর্ঘদিন ধরে চমেক হাসপাতালে সক্রিয়। তারা রোগী ও স্বজনদের বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ফার্মেসিতে পাঠিয়ে মোটা অঙ্কের কমিশন হাতিয়ে নিচ্ছিল। এছাড়াও রোগীর জিনিসপত্র চুরি, সরকারি ওষুধ চুরি, মোবাইল ফোন চুরি ও প্রতারণাসহ নানা অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিল তারা। অনেক সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়লেও আইনি দুর্বলতার কারণে নামমাত্র জরিমানা দিয়ে ছাড়া পেয়ে তারা আবারও একই কাজে জড়িয়ে পড়ছে। এই দালাল চক্রের সঙ্গে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ফার্মেসির মালিকদের যোগসাজশ রয়েছে। চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন বলেন, হাসপাতালকে দালালমুক্ত করতে আমরাও বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। র্যাবের এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই এবং চাই এই অভিযান নিয়মিতভাবে চলুক।