২০১১ সালের ১৯ অক্টোবর ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী মফিজুর রহমান জুম্মা ও সোহেল পারভেজ সুমনের নেতৃত্বে একদল ছাত্রলীগ ক্যাডার চমেক’র সাবেক শিক্ষার্থী আবিদুর রহমান আবিদকে ছাত্রদল করার অভিযোগে ছাত্র সংসদের টর্চার সেলে তুলে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা প্রথমে ছাত্র সংসদে, ২য় দফায় হোস্টেল ক্যান্টিনের সামনে ও ৩য় দফায় প্রধান ছাত্রাবাসের বি-২০ নম্বর রুমে আবিদুর রহমানকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে। অবস্থার অবনতি হলেও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা আবিদুর রহমানকে চিকিৎসা নিতে বাধা দেয়। আবিদুর রহমানের পরিবার তাকে সার্জিস্কোপ হাসপাতালে ভর্তি করান। পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তিনি ২১ অক্টোবর ২০১১ সালে শেষ নিঃশ^াস ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে তার পরিবার থানায় মামলা করলে বিচারিক কার্যক্রম ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে মামলা খারিজ করে আসামিদের খালাস দেন। দীর্ঘ ১৩ বছর পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে উক্ত আসামিদের অতি সত্ত¡র গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি। উক্ত স্মরণসভায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ডা. তৌকির আহমেদের সঞ্চালনায় কোরআন তেলোওয়াত করেন হাফেজ আমিনুল ইসলাম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন আবিদ হত্যার বিচারে প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ^াস দেন, বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দিন এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান ও দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। আবিদের মা মোছাম্মৎ ছৈয়দুন্নেছা সন্ত্রাসীদের বিচার ও বিএমডিসি সার্টিফিকেট বাতিলের দাবি করেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব রাখেন ডা. মো. জসিম উদ্দিন, ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালী, ডা. ঈসা চৌধুরী, ডা. সারোয়ার আলম, ডা. ইমরোজ উদ্দিন, ডা. মাহমুদুর রহমান, ডা. তানভীর হাবীব তান্না, ডা. আবদুল মতিন, ডা. সাঈফ সোহাগ, ডা. ফরহাদ আহমেদ লিজন, ডা. শাওন আনোয়ার, ডা. সুমন, ডা. মাসুদ আবদুল্লাহ, ডা. শাকির উর রশিদ, ডা. মোনায়েম ফরহাদ, ডা. আসিফ, ডা. ফয়সাল, ডা. সাদ্দাম, ডা. সামিউল, ডা. উল্লাস, ডা. ওবায়েদ, ডা. সাদ্দাম, ডা. মামুন, ডা. মেহেদী, ডা. টিটু, ডা. ফারজাউল। আবিদের সহপাঠীদের মধ্যে স্মৃতিচারণ করেন ডা. মাসুম, ডা. নাদিম, ডা. সোহাগ, ডা. মাহমুদ, ডা. আহমদ উল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ। পরে মানববন্ধন, স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বিজ্ঞপ্তি