চবিতে প্রক্টরকে লাঞ্ছনার ঘটনায় ১০ ছাত্রী বহিষ্কার

2

চবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. কোরবান আলীর গায়ে হাত তোলার অপরাধে আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী আফসানা এনায়েত এমিকে স্থায়ী বহিষ্কার ও তার সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও লাঞ্ছিতের ঘটনায় ৯ জনকে ২ বছরের জন্য ও ধর্ম অবমাননার মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে একজনকে ২ বছর ও আরেকজনকে ১ বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে চবি কর্তৃপক্ষ।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় চবি উপাচার্যের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। বিষয়টি জানিয়েছেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ।
শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকের উপর হামলা ও লাঞ্ছিতের ঘটনায় মার্কেটিং বিভাগের ২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোসা. সুমাইয়া (সুমাইয়া সিকদার) ব্যাংকিং এন্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের ১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফারজানা ইয়াসমিন পুতুল, যোগাযোগ সাংবাদিকতা বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফৌজিয়া আহমেদ পল্লী মজুমদার, ক্রিমিনোলজি এন্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের ২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জান্নাতুল মাওয়া মিথিলা, মেরিন সাইন বিভাগের ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এলিসা স্বর্ণা চৌধুরী, পুলিশ সায়েন্স বিভাগের ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রওজাতুল জান্নাত নিশা, চারুকলা ইনস্টিটিউটের ২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফাতেমাতুজ আশফিয়া নাহার এশা, ক্রিমিনোলজি এন্ড পুলিশ সাইন্স বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী উম্মে হাবিবা বৃষ্টি ও ওশানোগ্রাফির ২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাইসারা জাহান ইশাকে ২ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়াও ধর্ম অবমাননার মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এস এম সানবিম সিফাতকে ২ বছরের জন্য এবং একই বিভাগের ২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জাফরিন সুলতানাকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী আফসানা এনায়েত এমিকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে।পাশাপাশি তার সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। উক্ত ঘটনায় আরো ৯ জনকে ২ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়াও সভায় ধর্ম অবমাননার মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে একজনকে ২ বছরের জন্য এবং আরেকজনকে ১ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৫ ফেব্রæয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শেখ হাসিনা হলের নামফলক ও হলের সামনে কংক্রিট নির্মিত নৌকা ভাঙতে গেলে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন ঐ হলের ছাত্রীরা। এক পর্যায়ে সেখানে উপস্থিত এক ছাত্রী সহকারী প্রক্টর ড. মো. কোরবান আলীর গায়ে হাত তুলেন। ঘটনাস্থলে সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া এক সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নেয়া ও অন্যান্য সাংবাদিকদেরও হেনন্থা করে ছাত্রীরা।