চবিতে নিরাপত্তা কর্মীকে ছাত্রলীগ কর্মীর মারধর

31

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ভর্তি পরীক্ষার দায়িত্ব পালনকালে এক নিরাপত্তা কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে। গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা এড়াতে ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে নিরাপত্তা কর্মী শিমুল দে মারধরের শিকার হন বলে জানা গেছে।
গতকাল সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মারধরের সময় পাশে থাকা এক নারী পরীক্ষার্থীও আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত দুজন হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের লোকমান হোসেন এবং আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের একই শিক্ষাবর্ষের কনক সাহা জয়। তারা দুজনই শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক ইমাম উদ্দিন ফয়সাল পারভেজের অনুসারী এবং বগিভিত্তিক উপগ্রুপ একাকারের কর্মী। এর আগে প্রক্টর অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় ২০১৮ সালের ২৬ ফেব্রæয়ারি দুই বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাদের বহিষ্কারও করা হয়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট এলাকায় একটি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা এড়াতে কনক সাহাকে সরিয়ে দেন নিরাপত্তা কর্মী শিমুল দে। কিন্তু কনক সাহা জয়কে কেন সরিয়ে দেওয়া হলো এমন প্রশ্ন করে, শিমুল দেকে মারধর করে কনক এবং লোকমান। এসময় পাশে থাকা এক পরীক্ষার্থীকেও আঘাত করে তারা। আহত পরীক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। মারধরের শিকার শিমুল দে বলেন, আমি তাদেরকে বাঁচাতে সরিয়ে দেই। আর তারাই আমাকে আঘাত করেছে।
এদিকে মারধরের কোন ঘটনা হয়নি বলে দাবি করেছেন একাকার উপগ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ সাহিত্য বিষায়ক সম্পাদক ইমাম উদ্দিন ফয়সাল পারভেজ। তিনি বলেন, তারা ছাত্রলীগ কর্মীর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাদের সঙ্গে ওই নিরাপত্তা কর্মী খারাপ ব্যবহার করেছে। এরপর প্রতিবাদ জানিয়েছে তারা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর স্যার বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর প্রণব মিত্র চৌধুরী বলেন, নিরাপত্তাকর্মীরা সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে ডিউটি পালন করছেন। তাদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করা ঠিক নয়। মৌখিকভাবে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। লিখিতভাবে অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব।