চবিতে অসদুপায় অবলম্বন করা পরীক্ষার্থী আটক

2

চবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২৪-২৫ সেশনের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করতে গিয়ে এক পরীক্ষার্থী আটক হয়েছেন। ওই পরীক্ষার্থীর নাম মুনতাসির কাদের তাওসিফ। চট্টগ্রামের চান্দগাঁও হাজেরা তজু ডিগ্রি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তিনি।
গতকাল শনিবার চবিতে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ৩০৪ নম্বর রুম থেকে ওই পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়। এদিন বেলা সাড়ে ১১ টায় পরীক্ষা শুরু হয়ে সাড়ে ১২ টায় প্রথম শিফটের পরীক্ষা শেষ হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পরীক্ষার হলে মোবাইল ও অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নিয়ে প্রবেশে থাকা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হলে ঢুকেন তওসিফ। দেরিতে পরীক্ষার হলে প্রবেশের সুযোগে মোবাইল নিয়ে হলে প্রবেশ করেছেন বলে জানা গেছে। পরীক্ষা শুরুর আধাঘণ্টা পর ফেসবুকে শাফায়েত আহমেদ নামের এক বন্ধুর মেসেঞ্জারে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে পাঠান তাওসিফ। তবে অপরপাশ থেকে উত্তর আসার আগেই হল পরিদর্শকের হাতে ধরা পড়ে যান এই পরীক্ষার্থী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাবি ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়ক টিমের সাথে আসা রাবির ফোকলোর বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, চবির পরিদর্শকরা দ্রুত সময়ের মধ্যে বিষয়টি শনাক্ত করতে না পারলে বড় ধরণের সমস্যা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। প্রশ্নের ছবি কোনো চক্রের হাতেও চলে যেতে পারতো। তবে জিজ্ঞাসাবাদে ছেলেটিকে ওরকম কোনো চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে মনে হয়নি। সে তার বন্ধুর কাছে পাঠিয়েছে প্রশ্নটি। এসময় তিনি চবির হল পরিদর্শকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত মুনতাসির কাদের তাওসিফ বলেন, যে চক্রের কথা বলা হচ্ছে আমি তা জানিই না। আমি কোথাও কোচিং করিনি। ঠিকমতো প্রস্তুতিও নিইনি। আবেদন করেছিলাম দেখে পরীক্ষা দিতে এসেছি। আমার বন্ধু শাফায়েত সে বিভিন্ন জায়গায় পরীক্ষা দিচ্ছে, তাই তাকে প্রশ্নটা পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সে ম্যাসেজ দেখেনি।
এ বিষয়ে চবির সিনিয়র সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক মো. বজলুর রহমান বলেন, পরীক্ষা শুরুর আধাঘণ্টা পরে মুনতাসির কাদের তাওসিফ নামে এক শিক্ষার্থীকে অসাধুপায় অবলম্বনের সময় হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। পরিদর্শকের দায়িত্বে থাকা অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তারিকুল হাসান চৌধুরী তাকে আটক করেন। তাকে পুলিশের উপস্থিতিতে দীর্ঘসময় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সে কোনো চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে মনে হয়নি। আমরা তার পরীক্ষা বাতিল করেছি।