চন্দনাইশ থানা পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩ শিবির, ২ এলডিপি নেতা ও ১ ওয়ারেন্টভূক্ত আসামীকে আটক করেছেন। আটকৃতদের নিকট থেকে ৩টি ককটেল, ১টি চাকু, ২টি চাঁদা আদায়ের রশিদ, ১টি তাদের প্রকাশনার ম্যাগাজিনসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। সাবেক পৌর মেয়র আলহাজ মো. আইয়ুবকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দিয়েছেন। গত ২২ ডিসেম্বর চন্দনাইশ থানা পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় সাতবাড়িয়া এলাকায় ছাত্রশিবিরের গোপন বৈঠকের সংবাদ পেয়ে পুলিশ উপস্থিত হলে অন্যরা পালিয়ে গেলেও ৩ জন শিবির নেতাকে আটক করে। আটককৃতরা হল ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি, বর্তমান দোহাজারী পৌরসভা ছাত্র শিবিরের সভাপতি মো. রিদোয়ান (২৬), সাতবাড়িয়া বহরম পাড়ার শিবির কর্মী মো. হাবিবুর রহমান (১৯), পিতা- আবদুস ছালাম, কক্সবাজার পেকুয়ার মো. নুরুল ইসলামের ছেলে শিবির সাথী মো. জুনাইদ (১৯)।
তাদের নিকট থেকে ৩টি ককটেল, ১টি চাকু, ২টি চাঁদা আদায়ের রশিদ, ১টি তাদের প্রকাশনার ম্যাগাজিনসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে পুলিশ বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফারকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়। এ দিকে নাশকতার মামলায় সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে জামিজুরি মৃত ছৈয়দ আহমদের ছেলে এলডিপি নেতা বাঁচা মিয়া (৫২), চন্দনাইশ পৌরসভার মধ্যম চন্দনাইশের মৃত সফর মুল্লকের ছেলে মো. গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী (৫৫) কে আটক করে। আটককৃতদেরকে গতকাল ২৩ ডিসেম্বর আদালতে প্রেরণ করা হয়। অপরদিকে কর্ণেল অলি’র ভাতিজা, পর পর দু’বার চন্দনাইশ পৌরসভার নির্বাচিত মেয়র মো. আইয়ুবকে পুলিশ আটক করে, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গত ২৩ ডিসেম্বর বিকালে ছেড়ে দেয়।