চন্দনাইশে হাসপাতাল ও প্রধান সড়কের পাশে ময়লার স্তূপ

0

চন্দনাইশ প্রতিনিধি

চন্দনাইশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রবেশদ্বারে, শহীদ মুরিদুল আলম সড়কের পাশে খোলা স্থানে চন্দনাইশ পৌরসভার ময়লা ফেলা হচ্ছে। পঁচা দুর্গন্ধে এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। চন্দনাইশ পৌরসভায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় খানহাট বাজার এলাকায়, বাগিচাহাট, চন্দনাইশ সদর শাহ আমিন পার্কের পাশেসহ বিভিন্ন এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে রাখা হচ্ছে ময়লার স্তূপ। হাসপাতালে সেবা নিতে আসা ও সড়কে চলাচলকারী মানুষ নাক চেপে যেতে হচ্ছে। দ্রæত এ ময়লার স্তূপ সরিয়ে নেয়ার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
জানা যায়, ১৯৭৮ সালে চন্দনাইশ পৌরসভা শুরু হলেও গত ৩৭ বছরে চন্দনাইশ পৌরসভা কর্তৃপক্ষ আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ করতে পারেনি। পৌরসভা কর্তৃপক্ষ শহরের বিভিন্ন স্থান ও নদীতে ময়লা ফেলে আসছে। এতে পৌরসভার পরিবেশ চরম আকারে দূষিত হচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরে শহীদ মুরিদুল আলম সড়কের বড়–য়া পাড়া রাস্তার মাথার পূর্বে সড়কের পাশে ও চন্দনাইশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রবেশদ্বারে ময়লা ফেলা শুরু করে। এতে ঐ ময়লা ফেলার স্থানটি যেন ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। খোলা স্থানে ময়লা ফেলায় এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। বাতাসের সঙ্গে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। মানুষ নাক চেপে চলাচল করতে হচ্ছে। এ সড়কে প্রতিদিন অন্তত সহ¯্রাধিক যানবাহন, কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে। পাশাপাশি হাসপাতালে প্রতিদিন ৫’শতাধিক রোগী ও তাদের স্বজনরা আসা যাওয়া করে থাকে। গ্রামের বাসিন্দা ও যানবাহনে চলাচলকারী মানুষ দূষিত পরিবেশে জীবন-যাপন করছেন। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, হাসপাতাল ও সড়কের পাশে খোলা স্থানে ময়লা ফেলায় বসবাস করা খুবই কষ্টকর। দ্রæত ময়লার স্তূপ সরিয়ে নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতাল ও সড়কের পাশে ময়লায় একাকার হয়ে আছে। মানুষ নাক চেপে চলাচল করছে। দুর্গন্ধে গাড়ির জানালা ও দরজা বন্ধ রাখা হচ্ছে। গাড়ির যাত্রীরা নাক চেপে চলাচল করছে।
স্থানীয় ওয়াহিদুল আলম বলেছেন, হাসপাতালে প্রবেশদ্বারে ময়লার রাখায় পচা ময়লার দুর্গন্ধে হাসপাতালে যাওয়া আসা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। একইভাবে শহীদ মুরিদুল আলম সড়কের পাশে ময়লার ভাগাড়ের গন্ধে চলাচল করা দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে।
প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হয়েও আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নেই। যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা হচ্ছে। এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, এলাকার পরিবেশ দূষণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য অপরিকল্পিত ময়লা জমানো বন্ধ করতে হবে।
চন্দনাইশ পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাজিব হোসেন বলেছেন, ময়লার আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় ময়লা সড়কের পাশে রাখা হচ্ছে। দুর্গন্ধ রোধে ওই ময়লায় বিøচিং পাউডার দেয়া হচ্ছে। ময়লা ফেলার ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ করার জন্য জায়গা খোঁজা হচ্ছে। জায়গা পাওয়া গেলে আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ডাম্পিং স্টেশন করা হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা রশ্মি চাকমা বলেছেন, ময়লার দুর্গন্ধে বায়ুবাহিত রোগ জীবানু ছড়াতে পারে। ঐ স্থানে মাছি বংশ বিস্তার করে। ফলে মানুষের শরীরে সংক্রমণ রোগ হতে পারে।