চন্দনাইশ প্রতিনিধি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর গত ৬ আগস্ট থেকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু গত ৬ ও গতকাল ৭ আগস্ট ২য় দিনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর উপস্থিতির হার ছিল খুবই নগণ্য। সরেজমিনে গিয়ে শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার ৫টি মহাবিদ্যালয়, ২৫টি উচ্চ বিদ্যালয়, ১৬টি মাদ্রাসা, ৯১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩০টির অধিক কিন্ডার গার্ডেন, এনজিও পরিচালিত ১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা থাকলেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল খুবই নগণ্য। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা জানালেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসছে না। অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা পরিস্থিতি আরেকটু স্বাভাবিক হওয়ার কথা বলেছেন। অভিভাবকদের মধ্যে অনেকে জানালেন, যানবাহন চলাচল এখনও পুরোদমে স্বাভাবিক হয়নি, সড়কে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিত না থাকায় পরিবেশ সুষ্ঠু মনে হচ্ছে না। বিভিন্ন স্থানে ছোট-খাট হামলার ঘটনা ঘটছে। তাই ছেলে মেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন বলে জানান।