চন্দনাইশ প্রতিনিধি
চন্দনাইশে সাঙ্গু নদীর অববাহিকায় তিতা করলা চাষে লাভবান হওয়ার আশাবাদী কৃষকেরা। পাশাপাশি চলতি বছর তিতা করলার ফলন ও দাম বেশি পাওয়ায় খুশির রেখা চোখেমুখে ফুটে উঠছে তাদের। সারাদিন তিতা করলা ক্ষেতে পরিচর্যায় বেশিরভাগ সময় পার করছেন তারা।চন্দনাইশ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর শীতকালীন সবজি উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ হাজার ১’শ ৫০ হেক্টর। তিতা করলা চাষীদের উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেয়া অব্যাহত রয়েছে বলে জানান কৃষি কর্মকর্তা আজাদ হোসেন। সরেজমিন গিয়ে সাংগু নদীর চরে দেখা যায়, কৃষকেরা ক্ষেত পরিচর্যা ও ফলন উঠিয়ে বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে দেখা যায়। বাজার দর ভালো থাকায় কৃষকেরা আনন্দিত । চাষিরা বলেছেন, তিতা করলা চাষে খরচের দিক থেকে লভ্যাংশ বেশি পাচ্ছেন চলতি বছর। তবে, সার, কীটনাশকসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণের দাম কিছুটা বাড়তি। সবজি চাষে ব্যয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রথমদিকে প্রতি কেজি তিতা করলা ১০০ টাকার উর্ধ্বে বিক্রি হলেও বর্তমানে ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে তিতা করলা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আজাদ হোসেন বলেছেন, চলতি মৌসুমে তীব্র তাপদাহের কারণে সবজি চাষে অনেক সমস্যা দেখা দিয়েছে। যেসব তিতা করলার ক্ষেত রয়েছে তাদের সার্বক্ষণিক বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেয়া অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি। তিতা করলা একটি লাভজনক ফসল।
তিনি আরো বলেন, সবজি চাষিদের উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেয়া অব্যাহত রয়েছে। চাষীরা চন্দনাইশে তিতা করলার বাম্পার ফলনে আর্থিকভাবে লাভবান হবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।