চন্দনাইশ প্রতিনিধি
চন্দনাইশ পৌরসভা নির্বাচনে গুলিবিদ্ধ কলেজছাত্রের মৃত্যুর ঘটনার মামলায় প্রকৃত আসামিদের চার্জশিটভুক্ত না করায় গতকাল বুধবার আদালতে ফের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৪ ফেব্রæয়ারি চন্দনাইশ পৌরসভা নির্বাচনে গোলাগুলির ঘটনা দেখতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন কলেজছাত্র হাবিবুল ইসলাম (১৮)। ২১ ফেব্রæয়ারি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ওই ঘটনার মামলায় প্রকৃত আসামিদের চার্জশিটভুক্ত না করায় তার মা ছকিনা বেগম (৪৮) বাদী হয়ে গতকাল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ এ ফের অভিযোগ দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মাহামুদুল হক সানি মামলার শুনানি শেষে অভিযোগের বিষয়ে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নিতে চন্দনাইশ থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, হাবিবুল ইসলাম পৌরসভার দক্ষিণ গাছবাড়িয়া শাহ মাছুম ফকির পাড়ার আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে। ঘটনার সময় তিনি গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। পৌর নির্বাচনকালে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ গাছবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গোলাগুলির ঘটনা ঘটছিল। কি ঘটছে, তা দেখতে যান হাবিবুল। এ সময় তিনি এবং আনজুমান আরা (৭০) নামে আরও একজন গুলিবিদ্ধ হন। তাদেরকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসার পর হাবিবুলকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ২১ ফেব্রæয়ারি তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে হাবিবুলের মা ছকিনা বেগম বাদী হয়ে চন্দনাইশ থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তিনি জানান, হাবিবুল ইসলাম মৃত্যুর আগে একজন কাউন্সিলরসহ কয়েক জনের নাম উল্লেখ করেন। বিষয়টি থানায় অবহিত করলেও ৯ মাস ধরে পুলিশ কোন আসামি গ্রেপ্তার করেনি। ফলে তার আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলাটি পিবিআইতে প্রেরণ করা হয়। পিবিআই কর্তৃপক্ষ প্রকৃত আসামিদের বাদ দিয়ে চার্জশিট দাখিল করেন। তিনি চার্জশিটের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি দিয়ে প্রকৃত আসামিদের অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন করেন। তার আবেদন আদালত নামঞ্জুর করলে তিনি চন্দনাইশ পৌরসভার প্যানেল মেয়র আবু তৈয়বসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৮/১০ জনকে আসামি দিয়ে গতকাল আবারও অভিযোগ দায়ের করেন।