ফারুক আবদুল্লাহ
চট্টগ্রাম বন্দরের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শত কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত কর্মকর্তা হলেন ফখরুল ইসলাম। তিনি চট্টগ্রাম বন্দরের নৌ বিভাগের তত্ত¡াবধায়ক (লাইটিংস এন্ড মুরিং/এসএলএম) হিসেবে কর্মরত আছেন বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র জানিয়েছে, বিষয়টি তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। কমিটিকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বন্দরের উপ-পরিচালক (নিরাপত্তা) লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সৈয়দ সাজ্জাদুর রহমানকে তদন্ত কমিটির আহŸায়ক করা হয়েছে। এছাড়া বন্দরের নির্বাহী প্রকৌশলী (জলযান) সৈয়দ রেফায়েত হামিম ও সহকারী হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন আসিফ আহমেদকে সদস্য করা হয়েছে।
এদিকে গত ১ জুন চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (প্রশাসন) স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ফখরুল ইসলাম, তত্ত¡াবধায়ক (লাইটিংস অ্যান্ড মুরিং/এসএলএম), চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নৌ-বিভাগে দুর্নীতির মাধ্যমে শত কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং বেনামে ব্যবসা করছেন। চট্টগ্রাম বন্দর রক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে বন্দর চেয়ারম্যান বরাবরে অভিযোগপত্র দাখিলের পর তদন্তে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ফখরুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে কেন এসব মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হয়েছে জানি না। তদন্ত কমিটি যেহেতু করা হয়েছে এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। ব্যস্ততার কথা বলে আর তেমন কিছু বলতে চাননি এই কর্মকর্তা।
তদন্ত কমিটির আহব্বায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সৈয়দ সাজ্জাদুর রহমান ও সদস্য নির্বাহী প্রকৌশলী (জলযান) সৈয়দ রেফায়েত হামিম এর কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তারা কোন ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হননি। তারা চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র চিফ পারসোনাল অফিসার নাসির উদ্দিন বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন এখনও জমা হয়নি। আমাকে একটু খোঁজ নিয়ে জানতে হবে।