নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রামে কোটা আন্দোলন ঘিরে পুলিশের উপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে নগরের কোতোয়ালী থানায় নতুন করে একটি মামলা করা হয়েছে। এছাড়া নগরের পাহাড়তলী থানায়ও আরেকটি মামলা করা হয়েছে। এ নিয়ে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন থানায় ২২টি মামলা ও জেলার থানায় ১১টি মামলাসহ মোট ৩৩টি মামলা করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৬ জুলাই রাত থেকে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকাল আটটা পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৯৬৬ জনকে। এদের মধ্যে অধিকাংশই বিএনপি-জামায়াত সমর্থক ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থী। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে গত ১৬ জুলাই বিকেলে নগরের পাঁচলাইশ থানাধীন মুরাদপুর এলাকায় ৩ জন নিহত হন। গত ১৮ জুলাই চান্দগাঁও থানাধীন বহদ্দারহাটে সংঘর্ষে ২ জন নিহত হন। এদিন বহদ্দারহাট সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ চবি শিক্ষার্থী হৃদয় চন্দ্র তরুয়া গত ২৩ জুলাই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
সিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) কাজী মো. তারেক আজিজ সাংবাদিকদের জানান, চট্টগ্রামে কোটা আন্দোলনে হত্যা, দাঙ্গা, সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও নাশকতার ঘটনায় মোট ২২টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ জনসহ মোট ৫৬৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু তৈয়ব মো.আরিফ হোসেন বলেন, চট্টগ্রামে কোটা আন্দোলন ঘিরে হামলা, ভাংচুরের ঘটনায় ১১টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ জনসহ মোট ৪০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।