চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতদের স্মরণ করলো পলিসি ইনফ্লুয়েন্স গ্রুপ

1

‘নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করতে হবে’ শ্লোগানকে সামনে রেখে ১৭ নভেম্বর স্মরণ দিবস উদ্যাপন করেছে স্টেপস টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্ট এর উদ্যোগে গঠিত পলিসি ইনফ্লুয়েন্স গ্রæপ (পিআইজি) চট্টগ্রাম। নগরীর শিশু একাডেমী মিলনায়তনে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পিআইজি চট্টগ্রামের সভাপতি মুহাম্মদ মুসা খান। অতিথি ছিলেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কার্যকরী পর্ষদের সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী ও স্টেপস ঢাকার প্রকল্প সমন্বয়কারী চন্দন কুমার লাহড়ী। আলোচনায় অংশ নেন পিআইজি গ্রুপের সদস্য সচিব সাংবাদিক আবু মোশাররফ রাসেল, যুগ্ম সদস্য সচিব সাইদুর রহমান মিন্টু, বোয়ালখালী উপজেলা চেয়ারম্যান সমিতির সাবেক সভাপতি নুর মোহাম্মদ চেয়ারম্যান, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, রাজনীতিবিদ মিঠুল দাস গুপ্ত, চট্টলা কন্ঠের সম্পাদক কমল চক্রবর্তী, ক্যাব যুব গ্রুপের সভাপতি আবু হানিফ নোমান, সদস্য সিদরাতুল মুনতাহা, রাইসুল ইসলাম, রাসেল উদ্দীন, অধিকার চট্টগ্রামের সমন্বয়ক ওসমান জাহাঙ্গীর, ক্যাব নেতা মো. সেলিম জাহাঙ্গীর, মোহাম্মদ জানে আলম, ইসমাইল ফারুকী, মো. শাহীন চৌধুরী, এম এ আওয়াল শাহীন প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বলা হয়, সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিনিয়তই বিপুল প্রাণহানি ঘটে। আর যারা মারা যাচ্ছেন, তাদের দায় কতটুকু। তারপরও তার পরিবারকে এই দায়ভার নিতে হচ্ছে। একটি মৃত্যু পুরো পরিবারকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। অথচ সেখানে তার কোন ভূমিকা নাই। এজন্য পরিববহন মালিক, শ্রমিক, ট্রাফিক, বিআরটিএ, অবকাঠামোগত দুর্বলতা ও যাত্রীদের সংশ্লিষ্টতা থাকলেও সকল পক্ষ পুরোপুরি এগিয়ে না আসলে অথবা কারো গাফিলতি থাকলে তার জন্য মৃত্যু কোনভাবেই কাম্য নয়। তাই শুধুমাত্র সড়ক পরিবহন আইন ও সড়কে যাত্রীদের করণীয় সম্পর্কে পথচারী ও যাত্রীরা অবহিত হলে হবে না। আইন না মানার সংস্কৃতি বন্ধ করা, সড়কের অবকাঠামোগত দুর্বলতা, চালক ও হেলপারের বেপরোয়া গাড়ি চালানো, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিরবতা ও সক্ষমতার দুর্বলতার কারণে সড়কে নৈরাজ্য ও মৃত্যুর মিছিল বন্ধ হচ্ছে না।
পরে নগরীর মূল সড়কে মোমবাতি প্রজ্বালন করে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তি