চট্টগ্রামে আজও ভারী বৃষ্টি হতে পারে

4

বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে, এর প্রভাবে সারা দেশে আরও এক দিন বৃষ্টির সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থল নিম্নচাপাটি দুর্বল হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হওয়ার তথ্য দিয়ে আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, সুস্পষ্ট লঘুচাপটি শেরপুর ও সংলগ্ন মেঘালয়ে অবস্থান করছে।
এর প্রভাবে এদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সারাদেশের দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ১ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে হালকা, ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি, ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি ধরনের ভারি, ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে ভারি এবং ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হলে তাকে বলা হয়ে থাকে অতি ভারি বৃষ্টিপাত। খবর বিডিনিউজের
গতকাল মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ তৈরি হয়, যা পরে আরো ঘনীভ‚ত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়। সুস্পষ্ট লঘুচাপটি গত বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টায় নিম্নচাপে পরিণত হয়। পরে সেটি পরিণত হয় গভীর নিম্নচাপে। রাতেই সেটি নিম্নচাপে পরিণত হয়। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় সেটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হল।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ ২২৯ মিলিমিটার বৃষ্টি ঝরেছে চট্টগ্রামে। এছাড়া বান্দরবানে ২২২, সিলেটে ১৯৪, রাঙামাটিতে ১৭১, কুমিল্লায় ১৬৮, কক্সবাজারে ১৬৭, বগুড়ায় ১৪৯, সন্দ্বীপে ১৪৩, নোয়াখালীর মাইজদীকোর্টে ১৪১, কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ১৩৮, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে ১৩৪, চাঁদপুরে ১৩৩, ফেনীতে ১৩০ এবং ঢাকায় ১২৭ মিলিমিটারসহ সারাদেশে কম-বেশি বৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়ার সবশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরে বলা হয়, টাঙ্গাইল ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত স্থল নিম্নচাপটি উত্তর বা উত্তরপূর্ব দিকে এগিয়ে স্থল সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে সন্ধ্যা ৬ টায় শেরপুর ও সংলগ্ন মেঘালয়ে অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর বা উত্তরপূর্ব দিকে এগিয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমশ দুর্বল হতে পারে।
স্থল সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন উপকূলীয় অঞ্চলে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার তৈরি হচ্ছে এবং বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দরগুলো, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও উপক‚লীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।