গত শুক্রবার চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমিতে আঞ্চলিক ভাষার ছড়া সংকলন ‘চেরাগ’-এর আয়োজনে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার প্রথম ছড়া সম্মেলন শিশুসাহিত্যিক সাংবাদিক রাশেদ রউফের সভাপতিত্বে সম্মেলন উদ্বোধন করেন ভাষাবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাসেম, প্রধান অতিথি ছিলেন খ্যাতিমান সাহিত্যিক অধ্যাপক ড. মোহীত উল আলম। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কবি সাংবাদিক ওমর কায়সার। আলোচনায় অংশ নেন প্রফেসর রীতা দত্ত, কবি-সাংবাদিক কথাসাহিত্যিক বিশ্বজিৎ চৌধুরী, কবি সুলতানা নুরজাহান রোজী, সিদ্ধার্থ বড়ুয়া, অধ্যাপক সুপ্রতিম বড়ুয়া, ইমাম হোসেন চৌধুরী। আবৃত্তিশিল্পী মিলি চৌধুরীর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ‘চেরাগ’ সম্পাদক উৎপলকান্তি বড়ুয়া।
এতে বক্তারা বলেছেন, বিশ্বে বর্তমানে শতকরা ৪০ ভাগ ভাষা এখন প্রায় বিপন্ন। ভাষা যেমন গতিময়, তেমনি প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। ভাষা হারিয়ে যাবে, আবার বহুল ব্যবহারের কারণে কোনো কোনোটি উঠে আসবে নতুন স্রোতে। তারা বলেন, বাংলাদেশে বাংলা ভাষার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, বিভিন্ন জেলায় আঞ্চলিক ভাষার প্রচলন। যেগুলোর প্রত্যেকটির রয়েছে নিজস্ব শব্দকোষ ও রীতি। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা একটি স্বতন্ত্র সমৃদ্ধ ভাষা। এই ভাষায় কথা বলা এবং শোনা যতটা সহজ ও শ্রুতিগ্রাহ্য, ততটা কঠিন তার লৈখিক রূপ। কাজ কঠিন হলেও এর চর্চা কম নয়। এই ভাষায় ছড়া লিখে জনপ্রিয় হয়েছেন অনেকে। সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে ছড়া পাঠের আসরে সভাপতিত্ব করেন কবি সনজীব বড়ুয়া। আবৃত্তি করেন ফারুক তাহের, হাসান জাহাঙ্গীর, দিলরুবা খানম ছুটি, সেলিম রেজা সাগর, সিমলা চৌধুরী, প্রতিমা দাশ প্রমুখ। স্বরচিত ছড়া পাঠ করেন আলেক্স আলীম, বিপুল বড়ুয়া, দীপক বড়ুয়া, জসীম মেহবুব, কেশব জিপসী, পীযূষ কান্তি বড়ুয়া, বাসুদেব খাস্তগীর, সন্তোষ কুমার শীল, নান্টু বড়ুয়া, কানিজ ফাতিমা, শেলীনা আকতার খানম, সুবর্ণা দাশ মুনমুন, রাসু বড়ুয়া, অপু চৌধুরী, লিটন কুমার চৌধুরী, নবারুন কান্তি বড়ুয়া, সাজেদুল করিম ভুঁইয়া, বিভাস গুহ, জসিম উদ্দিন খান, ফারজানা রহমান শিমু প্রমুখ। সম্মেলন উপলক্ষে ছড়া প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এতে ২৭ লেখকের ছড়া স্থান পেয়েছে। বিজ্ঞপ্তি