চকরিয়ায় বর-কনে উভয় পক্ষের পারিবারিক সম্মতিতে কনের পিত্রালয়ে বাল্যবিয়ের আয়োজন চলছিল দশম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীর। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নুরুদ্দীন মোহাম্মদ শিবলী নোমানের নির্দেশে কনের বাড়িতে গিয়ে স্কুলছাত্রীর এ বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তানভীর হোসেন। এ সময় কনের পিতা আবু বক্করের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে পরে স্থানীয় চেয়ারম্যানের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম মানিকপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তানভীর হোসেন বলেন, শুক্রবার দুপুরে উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম মানিকপুর এলাকার আবু বক্করের স্কুলপড়–য়া কন্যার সাথে বিয়ের আয়োজন চলছিল একই উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের বহদ্দাকাটা এলাকার এক ছেলের সাথে। বর কনে উভয় পক্ষের পারিবারিক সম্মতিতেই কনের পিত্রালয়ে এ বাল্যবিয়ের আয়োজন করা হয়। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিমের মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নুরুদ্দীন মোহাম্মদ শিবলী নোমানের নির্দেশে কনের পিত্রালয়ে গিয়ে স্কুলছাত্রীর জন্ম নিবন্ধন সনদ যাচাই করে ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়ায় পরে এ বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়। এসময় বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ অনুযায়ী কনের পিতার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। পরে বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে মেয়ের পিতাকে জানানোর পর তিনি প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পূর্বে মেয়ে বিয়ে দিবেন না মর্মে লিখিত মুচলেকা দিলে তাকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত: উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম মানিকপুর এলাকায় আবু বক্করের কন্যা ও স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রীর সাথে বাল্যবিয়ের আয়োজন চলছিল একই উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের বহদ্দাকাটা এলাকার এক ছেলের সাথে। বর কনে উভয় পক্ষের পারিবারিক সম্মতিতেই কনের পিত্রালয়ে এ বাল্যবিয়ের আয়োজন করা হয়। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসার পর কনের বাড়িতে হাজির হয়ে বাল্যবিয়েটি বন্ধ করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তানভীর হোসেন। এসময় কনের পিতা আবু বক্করের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করার পর প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পূর্বে মেয়ে বিয়ে দিবেন না মর্মে লিখিত মুচলেকা নিয়ে পরে স্থানীয় চেয়ারম্যানের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।