চকরিয়া প্রতিনিধি
কক্সবাজারের চকরিয়ায় প্যারাবনে এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে কিশোরীর পিতা বাদি হয়ে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
গতকাল বুধবার দুপুরে আসামিদের চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করা হয়। এ সময় জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য কিশোরীকেও আদালতে হাজির করে পুলিশ।
এর আগে গত রবিবার রাতে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনার পরপরই পুলিশ বদরখালী ও মহেশখালীতে অভিযান চালিয়ে প্রথমে ৩ জন ও পরে ৫ জনসহ ৮ জনকে আটক করে। তাদের মধ্যে প্রথম দফায় আটক করা ৩ জনকে ধর্ষণের ঘটনায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে আদালতে পাঠায় পুলিশ। দ্বিতীয় দফায় আটক ৫ জনের মধ্যে ৩ জনই এজাহারনামীয় আসামি হওয়ায় তাদেরকেও আদালতের কাছে সোপর্দ করা হয়। অন্য ২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেয় পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ইতিপূর্বে ধর্ষণের ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আটক করে আদালতের কাছে সোপর্দ করা ৩ জনের মধ্যে একজনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়। অন্য ২ জনের সম্পৃক্ততা না থাকায় তাদের জামিনের ব্যাপারে বিরোধিতা করবে না পুলিশ। এছাড়া এজাহারনামীয় ২ পলাতক আসামি ছোটন ও ফারুককে গ্রেপ্তারে পুলিশের বিশেষ অভিযানও অব্যাহত রয়েছে।
দায়ের করা মামলার আসামিরা হলেন বদরখালী ইউনিয়নের বাজারপাড়ার জিয়াবুল হকের ছেলে মোহাম্মদ তাজুম প্রকাশ তাজুল উদ্দিন (২২), মগনামা পাড়ার আবু ছালেকের ছেলে অমিত হাসান (২৫), গোলাম কাদেরের ছেলে মো. তারেক (২১), কলেজপাড়ার মো. ইছহাকের ছেলে মো. কাজল (২৩), বদরখালীর মো. ছোটন (২৩) ও মো. ফারুক (২৪)। এজাহারনামীয় আসামিদের মধ্যে তাজুম, অমিত, তারেক ও কাজলকে মামলা করার আগেই সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে পুলিশ।
চকরিয়া থানার ওসি মো. মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া বলেন, পুলিশ বদরখালী ও মহেশখালীতে অভিযান চালিয়ে ৮ জনকে আটক করে। তাদের মধ্যে প্রথম দফায় আটক ৩ জনকে আদালতের কাছে সোপর্দ করা হলে বিজ্ঞ আদালত তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।