চকরিয়া প্রতিনিধি
কক্সবাজারের চকরিয়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন। এ সময় গুরুতর আহত হন আরও ২ মোটরসাইকেল আরোহী। তাদেরকে প্রথমে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গত শনিবার রাত ১০ টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের হারবাং ইউনিয়নের ভিলেজারপাড়া রাস্তার মাথায় ও গতকাল রবিবার সকাল ১০ টার দিকে নলবিলা ডলমপীর জামে মসজিদের সামনে এ পৃথক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের হেলাল উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ সোহেল (২২), একই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মাঙ্গা মিয়ার ছেলে মোহম্মদ রিফাত (২১) ও পেকুয়া উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. বোরহান উদ্দিন (৪২)।
তাদের মধ্যে সোহেল ও রিফাত দু’দিন আগে কক্সবাজার বেড়াতে এসে শনিবার রাতে মোটরবাইক নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের হারবাং ইউনিয়নের ভিলেজারপাড়া রাস্তার মাথা এলাকায় কক্সবাজার অভিমুখি একটি লরিচাপায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তারা।
অপর দুর্ঘটনায় নিহত মো. বোরহান উদ্দিনসহ ৩ জন রবিবার সকালে মোটরসাইকেলে করে পেকুয়া থেকে চকরিয়া পৌর সদরে আসছিলেন। সকাল ১০ টার দিকে নলবিলা ডলমপীর শাহ জামে মসজিদের সামনে একটি ইট বোঝাই ডাম্পারের (মিনি ট্রাক) চাপায় ঘটনাস্থলে নিহত হন বোরহান। তিনি ওষুধ কোম্পানি বায়ো ফার্মার এরিয়া ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ সময় বোরহানের সাথে থাকা গিয়াস উদ্দিন (৪২) ও আজমগীর (৪৬) নামে অপর ২ জন গুরুতর আহত হন।
তাদেরকে প্রথমে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে গিয়াস সোনালী ব্যাংক চকরিয়া শাখার ম্যানেজার বলে জানা গেছে।
চিরিঙ্গা হাইওয়ে থানার ওসি মো. আরিফুল আমিন বলেন, পৃথক দুর্ঘটনাস্থল থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। নিহতদের স্বজনরা লাশ শনাক্ত করেন। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত লরি, ডাম্পার ও মোটরসাইকেল দুইটি জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনি প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।