চকরিয়ায় সাবেক দুই এমপিসহ ৩৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

3

চকরিয়া প্রতিনিধি

কক্সবাজারের চকরিয়ায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও ২০০ একরের চিংড়ি প্রকল্পে লুটপাটের অভিযোগে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাবেক দুই এমপিসহ ৩৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে নালিশী মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত বুধবার চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের পুকুরিয়া গ্রামের তোফাজ্জল হোসাইনের ছেলে আলী হায়দার বাদী হয়ে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ নালিশি মামলাটি দায়ের করেন।
সংঘটিত হওয়ার ১৬ বছর পর দায়ের করা এ মামলায় ১ ও ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে যথাক্রমে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সভাপতি এবং এ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম বীর প্রতীককে।
তবে মামলার বাদির দাবি, আসামিরা রাজনৈতিক নেতা ও ডাকাত প্রকৃতির লোক হওয়ায় এতোদিন মামলা করা থেকে বিরত ছিলেন তিনি। এখন দলীয় প্রভাব নেই, তাই ন্যায় বিচার পাব- এ আশায় মামলাটি করা হয়েছে।
এছাড়া মামলায় উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাউছার উদ্দিন কচির, চিরিঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন, সাবেক চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীন এবং বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বদিউল আলম, আওয়ামী লীগ নেতা নাগু সওদাগরসহ ৩৯ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৬০-৭০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। আদালত বাদির অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।
চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আইনজীবী অ্যাড. মিফতাহ উদ্দিন আহমদ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আদালতে দায়ের করা নালিশী মামলার আর্জিতে বাদী উল্লেখ করেন, উপজেলার চরণদ্বীপ মৌজার ২০০ একর চিংড়ি ঘেরে সাবেক এমপি জাফর আলমের নেতৃত্বে ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তারা চিংড়ি ঘের দখল করে লুটপাট চালায়।
মামলার বিষয়ে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম বীর প্রতীক জানান, যে সময় ঘটনা দেখানো হয়েছে ওই সময়ের আগে-পরে আমি চকরিয়াতেও যাইনি। এ ঘটনা সম্পর্কেও আমি কিছুই জানি না। শুধুমাত্র হয়রানি ও আমার সম্মান ক্ষুন্ন করতে আমাকে এ মামলায় জড়ানো হয়েছে।