চকরিয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া

2

চকরিয়া প্রতিনিধি

চকরিয়ায় একটি অবৈধ বালুমহালের দখল নিয়ে পেকুয়া ও চকরিয়া উপজেলা বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। গতকাল সোমবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সিরঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বরইতলী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সিরঘোনা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মাতামুহুরী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিল কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক এক প্রভাবশালী নেতার আস্থাভাজন একটি চক্র। গত ৫ আগস্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর থেকে ওই অবৈধ বালুমহালে বালু উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। তবে আগে থেকে উত্তোলন করা বালু লুট ও অবৈধ বালুমহালের নিয়ন্ত্রণ নিতে গতকাল সোমবার সকালে পেকুয়া উপজেলা যুবদল নেতা সাহেদুল ইসলাম মেম্বার ও যুবদল নেতা সাজ্জাদুল ইসলামের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন দলীয় নেতাকর্মী লাঠিসোঁটা নিয়ে গাড়িযোগে ঘটনাস্থলে যায়। খবর পেয়ে বরইতলী ইউনিয়নের পহরচান্দা বিএনপির বেশকিছু নেতাকর্মী দলবদ্ধ হয়ে তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময় উভয় পক্ষের মাঝে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটলেও তাৎক্ষণিকভাবে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা জালাল আহমদ সিকদার বলেন, পেকুয়া উপজেলা যুবদল নেতা ও ইউপি সদস্য সাহেদুল ইসলাম মেম্বারের নেতৃত্বে একদল নেতাকর্মী লাঠিসোঁটা নিয়ে চকরিয়ার বরইতলীতে এসে অবৈধ বালুমহালের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় খবর পেয়ে বরইতলীর পহরচাঁদা সাংগঠনিক ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা দলবদ্ধ হয়ে পেকুয়া থেকে আসা যুবদল নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয়। এক পর্যায়ে তারা স্বদলবলে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে পেকুয়া উপজেলা যুবদল নেতা ও পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সাহেদুল ইসলাম ও যুবদল নেতা সাজ্জাদুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।