‘ঘাপটি মেরে থাকা জামায়াত ছিল ভয়ংকর’

13

শুরুতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে জামায়াত-শিবির সন্ত্রাসীরা ঘাপটি মেরে থাকলেও পরে ভয়ানকভাবে সামনে আসে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল রবিবার গণভবনে ঢাকায় নিযুক্ত স্পেনের রাষ্ট্রদূত গাব্রিয়েল মারিয়া সিসতাগা ওচোয়া দ্য চিনচেত্রু তার সৌজন্য সাক্ষাতে এলে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বৈঠকের বিষয়ে ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রাথমিকভাবে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা লো-প্রোফাইলে (ঘাপটি) থাকলেও একটা পর্যায়ে ভয়ংকরভাবে আর্ভিভূত হয়। যে প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের সফলতা ও উন্নয়নের প্রতীক, জনসেবামূলক এবং যেখানে যেখানে সাফল্য, সন্ত্রাসীরা সেসব প্রতিষ্ঠানে হামলা করে।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড হাসপাতাল, মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়ে, সেতু ভবন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবন ও ডেটা সেন্টার-সবগুলো আমাদের উন্নয়নের প্রতীক। এসব প্রতিষ্ঠান জনগণকে সেবা দেয় এবং প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংসে তারাই আসলে ক্ষতিগ্রস্ত। খবর বিডিনিউজ’র
সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, সেনা সদস্যরা সর্বোচ্চ ধৈয্য দেখিয়েছে। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী সাম্প্রতিক সংঘাতে তার দল আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ২১ জন মারা গেছে।
দলমত নির্বিশেষে সংঘাতে নিহত ও আহতদের সহযোগিতা করার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, সহযোগিতা করার ক্ষেত্রে তিনি দল বিবেচনা করতে আগ্রহী নন।
কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রসঙ্গে সরকারপ্রধান বলেন, আন্দোলন যখন চরম মুহূর্তে ছিল তখন সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী কোটার অস্তিত্বই ছিল না। তখন তাদের দাবির যৌক্তিকতা কি ছিল।
সাম্প্রতিক সহিংসতায় নিহতদের পরিবারের সদস্য এবং আহতদের জীবনজীবিকা এবং বিনামূল্যে আহতদের সুচিকিৎসায় সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
শান্তি ও সমৃদ্ধির স্বার্থে সেনা মোতায়েন এবং কারফিউ আরোপের প্রশংসা করে ঢাকায় স্পেনের রাষ্ট্রদূত গাব্রিয়েল সিসতাগা বলেন, এখন ধীরে ধীরে সবকিছুর উন্নতি হচ্ছে। শান্তি ও অগ্রগতি নিশ্চিত করার জন্য যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তিনি তা বোঝেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, তিনি টেলিভিশনে সবকিছু দেখেছেন। তবে ভাষাগত পার্থক্যের কারণে সেগুলি বুঝতে পারেননি। তিনি সংবাদপত্র থেকে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ এবং সংঘাতের বিষয়টি জানেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে ভাঙচুরের শিকার কয়েকটি স্থান পরিদর্শন করেছেন বলেও প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন স্প্যানিশ রাষ্ট্রদূত।
গত ১৬ বছরে বাংলাদেশের উন্নয়নকে ‘খুবই দৃশ্যমান’ বর্ণনা করে গাব্রিয়েল সিসতাগা বলেন, গত ১৬ বছরে উন্নয়ন অত্যন্ত বাস্তব, চাইলে যে কেউ যাচাই করতে পারে।
বাংলাদেশে শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বাজেট বরাদ্দের প্রশংসা করে স্প্যানিশ রাষ্ট্রদূত বলেন, এসব বরাদ্দ জনগণের কল্যাণে সরকারের আন্তরিকতা নিশ্চিত করে। এসব খাতে অনেক দেশে এই ধরনের আলাদা বাজেট সহায়তা থাকে না।