সোহেল আজিম, পেকুয়া
পেকুয়ায় গ্রাম পুলিশের বেতন নিতে প্রতিবারই ঘুষ দিতে হয়। আর এ ঘুষ নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসের অফিস সহকারী নিতাই দাশ। গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর এ সদস্যদের অভিযোগ প্রতি তিন মাস পর পর বেতন নেওয়ার সময় ঘুষ দিতে গিয়ে তাদের বেতনের সিংহভাগই চলে যায়। এর প্রতিবাদ করলে ইউএনওকে দিয়ে চাকরিচ্যুত করার হুমকিতে অসহায় হয়ে পড়েন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা গ্রাম পুলিশের সদস্যরা। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী বারবাকিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন জানান, তিন মাস পর পর বেতন হলে পেকুয়ার ইউএনও অফিসের কাম কম্পিউটার অপারেটর নিতাই দাশ জনপ্রতি তিনশত টাকা করে কেটে নেয়, প্রতিবাদ করলে তিনি ইউএনওকে দিয়ে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেয়।
বারবাকিয়া ইউনিয়নের আরেক ভুক্তভোগী গ্রাম পুলিশ আনছার উদ্দিন বলেন, নিতাই বাবু পেকুয়া ইউএনও অফিসের প্রভাবশালী কর্মচারী গ্রাম পুলিশের বেতন কেটে রাখা তার প্রতিনিয়ত অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। বেতন কেটে নেয়ার প্রতিবাদ করলে চাকরিচ্যুত করার হুমকি ও বিভিন্ন অজুহাতে হয়রানির শিকারের ভয়ে অনেকেই মুখ খুলছেন না।
এ ব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী (আইটিও গোপনীয় শাখা) নিতাই দাশের সাথে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মইনুল হোসেন চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে বিষয়টি তিনি অবগত নন উল্লেখ করে বলেন, ‘কেউ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নিব।’