সীতাকুন্ড শঙ্কর মঠ ও মিশনে ব্রহ্মবিদ পরমহংস শ্রীমৎ স্বামী স্বরূপানন্দ গিরি মহারাজের ১৫৩তম ও গীতাহিমাদ্রী পরমহংস শ্রীমৎ স্বামী জ্যোতিশ্বরানন্দ গিরি মহারাজের ১১৬তম শুভ আবির্ভাব দিবস, শ্রীশ্রীবিশ্বনাথ মন্দিরের ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, রুদ্রাভিষেক ও অখন্ড গীতাপাঠের ৪৪তম আসর উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের ৩য় দিন ১৭ নভেম্বর মেধানিরূপণী শ্রীমদ্ভগবদগীতা প্রতিযোগিতা (লিখিত) অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধক ছিলেন বাগীশিক কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা অধ্যক্ষ বিজয় লক্ষী দেবী। প্রতিযোগিতা শেষে অনুষ্ঠিতব্য আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মঠের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী তপনানন্দ গিরি মহারাজ। প্রতিযোগিতা উপ-পর্ষদের আহবায়ক লায়ন দিলীপ কুমার শীলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাগীশিক চট্টগ্রাম মহানগর সংসদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়ন অসিত সেন। আলোচক ছিলেন সীতাকুন্ড শঙ্কর মঠ ও মিশনের ট্রাস্টি শ্রীমৎ জগদীশ্বরানন্দ ব্রহ্মচারী, স্বাগত বক্তব্য দেন মঠের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক তড়িৎ কুমার ভট্টাচার্য্য, যুগ্ম সম্পাদক বাসুদেব দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার অজিত কুমার শীল, বাগীশিক কেন্দ্রীয় সংসদের প্রতিষ্ঠাতা দিলীপ কুমার ভট্টাচার্য্য, দৈনিক খবর’র বিভাগীয় সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক রনজিত কুমার শীল, বাগীশিক চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সংসদের সভাপতি শুভাশীষ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মাস্টার শিবু দাশ, বাগীশিক সীতাকন্ড উপজেলা সংসদের সভাপতি প্রভাষ বণিক। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রতিযোগিতা উপ-পর্ষদের সদস্য সচিব বিপ্লব নন্দী।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বিশ্বজনীন ধর্মগ্রন্থ শ্রীমদ্ভগবত গীতার কর্ম, জ্ঞান ও ভক্তি মানুষকে বিভিন্ন অপকর্ম থেকে বিরত রাখে। ধর্ম চেতনা ও ধর্মবোধ মানুষকে সত্য সনাতন সুন্দরের পথে পরিচালিত করার ফলে সমাজ থেকে অন্যায়-অনাচার দূরীভূত হয়। এখানে মঠ-মন্দির শুধু ধর্ম চর্চার সাধনা করে না। মানুষের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধাবোধ সৃষ্টি ও সভ্যতাকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে। ধর্মবোধ মানুষকে ন্যায়ের শিক্ষা দিয়ে সভ্য করেছে। নিষ্কাম কর্ম ও অন্ধকারাচ্ছন্ন পথ থেকে উত্তরণের জন্য মনুষ্যত্বের সাধনা করাই হলো গীতা শিক্ষা। তাই গীতার আদর্শ ও উদ্দেশ্য বুকে ধারণ করতে পারলে সুন্দর সমাজ বিনির্মাণ হবে। বিজ্ঞপ্তি