আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গাজা যুদ্ধবিরতির সময়সীমা বাড়ানোর আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা। কারণ যুক্তরাষ্ট্র হামাসের দাবিকে ‘অবাস্তব’ বলে অভিযোগ করেছে। হামাস তাদের দাবি কাতারের যুদ্ধবিরতি আলোচনায় উত্থাপন করেছিল। ইসরায়েল এখনও এ বিষয়ে মন্তব্য করেনি। তবে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অফিস জানিয়েছে, শনিবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় ইসরায়েলের আলোচক দলের কাছ থেকে প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে। নেতানিয়াহুর অফিস আগে জানিয়েছিল যে ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইসরায়েল এবং হামাস যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফের প্রস্তাবিত চুক্তির কিছু মূল দিক নিয়ে একমত হতে পারেনি। চুক্তি অনুসারে প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতি ১ মার্চ শেষ হয়েছিল। আলোচকরা পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য তৎপর রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র প্রথম ধাপটি মধ্য এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিল। এর মধ্যে আরও একবার হামাসের হাতে জিম্মিদের মুক্তি এবং ইসরায়েলের হাতে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি অন্তর্ভুক্ত ছিল।
হোয়াইট হাউজ হামাসকে ‘অবাস্তব’ দাবির জন্য দায়ী করেছে। উইটকফের অফিস এবং মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি বলা হয়েছে, হামাস তাদের ‘স্থিতি অটল রেখেছে এবং একটুও ছাড় দেয়নি’ এবং তারা গ্রæপটিকে ‘মানসিক যুদ্ধ এবং মনোভাবের খেলা’ হিসেবে অভিযুক্ত করেছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, এপ্রিল পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েল এবং হামাস জানুয়ারিতে ১৫ মাসের যুদ্ধের পর তিনটি ধাপে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছেছিল।
প্রথম ধাপে হামাস ২৫টি জীবিত ইসরায়েলি জিম্মি, আটজনের মৃতদেহ এবং পাঁচজন জীবিত থাই বন্দিকে ফিরিয়ে দেয়। বিনিময়ে ইসরায়েল প্রায় ১,৮০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়। চুক্তি অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপে গাজার বাকী জীবিত বন্দিরা মুক্তি পাবে, যার বিনিময়ে আরও ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পাবে। কিন্তু বর্তমানে উভয় পক্ষ বন্দির সংখ্যা নিয়ে মতবিরোধে রয়েছে।