গাজা পুনর্গঠনে প্রয়োজন ৫০ বিলিয়ন ডলার: যৌথ বিবৃতিতে বিশ্ব ব্যাংক

2

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রায় ১৫ মাসের ইসরায়েলি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত গাজা পুনর্গঠন করতে প্রয়োজন হতে পারে ৫০ বিলিয়ন অথবা পাঁচ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। বিশ্বব্যাংক, জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রæয়ারি) যৌথভাবে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ কথা বলে হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
দ্য ইন্টেরিম র‍্যাপিড ড্যামেজ অ্যান্ড নিডস অ্যাসেসমেন্ট বা আইআরডিএনএ নামের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা পুনরুদ্ধার ও পুনর্গঠনে আগামী ১০ বছরে পাঁচ হাজার ৩২০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি প্রয়োজন হতে পারে। প্রথম তিন বছরেই প্রায় ব্যয় হতে পারে দু হাজার কোটি ডলার।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অনুপ্রবেশ করে হামাসের হামলার প্রতিক্রিয়ার গাজার সামরিক আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল। তাদের দাবি অনুযায়ী, হামাসের হামলায় প্রায় ১২০০ জন নিহত এবং ২৫০ জন জিম্মি হয়েছিলেন। নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার অভিযানে নামে তেল আবিব। গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার আগ পর্যন্ত ৪৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।
বছরের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে পুরো গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। একে আবার বাসযোগ্য করার জন্য পুনর্গঠনের পাশাপাশি অবিস্ফোরিত বোমা অপসারণের কাজও করতে হবে।
গত মাসে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে নাজুক একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কিছুদিন পরই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হলো। এতে বলা হয়েছে, বিশাল পরিসরে পুনরুদ্ধার ও পুনর্গঠন কার্যক্রম পরিচালনার কিছু পূর্বশর্ত এখনও নিশ্চিত করা হয়নি। যেমন উপত্যকার শাসন ব্যবস্থা ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয়গুলো নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও দূরীভূত হয়নি। পুনর্গঠনের গতি ও ব্যাপ্তি এ বিষয়গুলোর ওপর যথেষ্ট নির্ভরশীল হবে বলে মন্তব্য করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
আইআরডিএনএ বলেছে, প্রায় দু লাখ ৯২ হাজার বাড়ি বিধ্বস্ত এবং ৯৫ শতাংশের বেশি হাসপাতাল অকার্যকর অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আর স্থানীয় অর্থনীতি প্রায় ৮৩ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্ভাব্য পুনর্গঠন ব্যয়ের প্রায় ৬০ শতাংশই প্রয়োজন হবে আবাসিক ভবনসহ বিভিন্ন অবকাঠামো পুনর্গঠনে। আর বাকিটুকু স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাণিজ্য ও শিল্পসহ সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় ব্যয় করা হবে।