বাবুল কান্তি দাশ
মানবসভ্যতার ইতিহাসে গাজায় ইসরায়েলের নৃশংস হত্যাকান্ড এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। যা মানবসভ্যতা এবং সৌহার্দ্য সম্প্রীতির উপর মারাত্মক আঘাত। যার আবেশ থেকে যাবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম। প্রজন্ম ধরে উদগীরণ হবে প্রচন্ড ঘৃণা আর ক্ষোভ। এহেন নৃশংস ঘটনা মনুষ্য মর্যাদার হানিকর বটে। যা দেখেও বিশ্ব মোড়লেরা মূক ও বধির। মনে রাখতে হবে আমি যদি কারো দুঃখের কারণ হই, সেও আমার দুঃখের কারণ হবে।
সন্ত্রাস বা নৃশংসতা কখনো শান্তি আনয়ন করতে পারে না বরং তা সন্ত্রাস বা নৃশংসতাকে উৎসাহিত করে। এমনতরো চেতনা থেকে বের হয়ে আসতে না পারলে বিশ্বব্যাপী বেড়ে যাবে অস্থিরতা ক্রমাবনতি ঘটবে মানব সভ্যতার। সময় এসেছে শুভ চেতনা ও বোধের জাগরণ ঘটানোর। গাজা যা গাজা শহর বা গাজা সিটি হিসাবেও পরিচিত, এটি গাজা উপত্যকায় অবস্থিত ফিলিস্তিনের একটি শহর, যার জনসংখ্যা ৫১৫,৫৫৬ জন, যা একে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের বৃহত্তম শহরে পরিণত করেছে। খ্রিষ্টপূর্ব কমপক্ষে পঞ্চদশ শতাব্দী পূর্বে এখানে জনবসতি স্থাপিত হয়েছিল, গাজার পুরো ইতিহাস জুড়ে বিভিন্ন শাসক এবং সাম্রাজ্যের আধিপত্য রয়েছে। প্রাচীন মিশরীয়রা প্রায় ৩৫০ বছর ধরে এটি শাসন করার পরে ফিলিস্তিনিরা এটিকে তাদের পেন্টাপোলিসের একটি অংশ করেছিল। গাজার জনবসতি স্থাপনের ইতিহাসটি ৫০০০ বছরের পুরনো, যা এটিকে বিশ্বের প্রাচীনতম শহরগুলির মধ্যে স্থান করে দিয়েছে। উত্তর আফ্রিকা এবং লেভান্টের মাঝে ভূমধ্যসাগরীয় উপক‚লের পথে অবস্থিত, এর ইতিহাসের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি দক্ষিণ ফিলিস্তিনের মূল শহর এবং লোহিত সাগর পাড়ি দিয়ে মশলা বাণিজ্যের পথে গুরুত্বপূর্ণ অবদান হিসাবে কাজ করেছিল। গাজা ১৯০৩ এবং ১৯১৪ সালে ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্পের সম্মুখীন হয়। ১৯১৭ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ বাহিনী শহর দখল করে (গাজার তৃতীয় যুদ্ধে)। বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে, কর্তৃত্বপ্রাপ্ত শক্তির অধীন ফিলিস্তিন শাসনাধীনে গাজা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। ১৯৪৮ -এর আরব-ইসরাইলি যুদ্ধের সময় ফিলিস্তিনিদের দেশত্যাগের ফলে শহরের জনসংখ্যা ফুলে ফেঁপে ওঠে। ১৯৬৭র ছয় দিনের যুদ্ধে ইসরাইলদের দ্বারা দখল করার আগে পর্যন্ত গাজা মিশরের শাসনাধীনে ছিল। গাজায় প্রথম ইন্তিফাদার সময় রাজনৈতিক প্রতিরোধের একটি কেন্দ্র বিন্দু হয়ে ওঠে, এবং ১৯৯৩ সালের অসলো চুক্তির অধীনে, এটি নতুন গঠিত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে থাকার জন্য নির্ধারিত হয়। ২০০৫ সালে ইসরাইল একতরফাভাবে গাজা থেকে প্রত্যাহার করে নেয়। ২০০৭ এ, হামাস, উভয় ফিলিস্তিনের নির্বাচনে বিজয়ী হিসেবে এবং শহরে প্রতিদ্বন্দ্বী ফাতাহ সঙ্গে বিরোধপূর্ণ যুদ্ধে জিতে এবং তারপর থেকেই একমাত্র শাসক কর্তৃপক্ষ হয়ে পরে। ইস্রায়েল পরবর্তীকালে ভূখন্ড অবরোধ করে এবং ২০০৮-২০০৯, ২০১২ এবং ২০১৪ সালে এটির বিরুদ্ধে নিপীড়নের শুরু করে, কথিত রকেট হামলার একটি প্রতিক্রিয়া হিসেবে। ১৯৬৮ সাল থেকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নিজভূমির অধিকার পাওয়ার আশায় লড়াই করে আসছে ফিলিস্তিনিরা। ২০০৫ সালে গাজার পশ্চিম তীরে জোরপূর্বক বসতি স্থাপন শুরু করে ইসরায়েল। এরপর থেকে গাজা সীমান্তে ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে বহু ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনের গাজায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে নির্বিচার ও নৃশংস হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এতে এ পর্যন্ত প্রায় ৫১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাঁদের বেশির ভাগ শিশু ও নারী। গাজা সিটির উত্তরাংশের এই শুজাইয়া এলাকায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২৯ জন প্যালেস্টাইনি নিহত হয়েছেন বলে খবর। মারা গিয়েছেন মহিলা ও শিশুরাও। জায়গাটায় ঠাসাঠাসি করে ছিল প্রচুর তাঁবু আর সেই তাঁবু ভর্তি ঘরছাড়া মানুষ। কিছু ঘরবাড়িও ছিল। একের পর এক ইসরায়য়েলি ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ার পরে সেগুলোকে আর বাড়ি বলে চেনা যাচ্ছে না। আর মানুষগুলো? গাড়া সিটির শুজাইয়া এলাকার যুবক আয়ুব সেলিম বললেন, ‘‘মৃতদেহগুলোকে কেউ যেন টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে ফেলেছে। চতুর্দিকে ছিটকে যাচ্ছে শ্র্যাপনেল। ধুলোর স্তর ভেদ করে শুধু আর্তনাদ ভেসে আসছে।’’ গাড়া সরকারের তথ্য দফতরের প্রধান জানিয়েছেন, ২০২৩-এর অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সেখানে নিহতের সংখ্যা এখন ৬১,৭০৯। আহত ১ লক্ষ ১৫ হাজারেরও বেশি। সম্ভাব্য নিহতদের মধ্যে প্রায় ৭৬ শতাংশের দেহ উদ্ধার হয়েছে। ১৪ হাজারেরও বেশি নিখোঁজ। তাঁরা ধ্বংসস্তূপের নিচে বা দুর্গম এলাকায় আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এক সাংবাদিক বলছিলেন, হাজার হাজার বসতবাড়ি যেন এখন কবরে বদলে গিয়েছে। শুধু শুজাইয়া নয়, ডক্টর্স উইদাউট বর্ডার্স জানাচ্ছে, দক্ষিণ গাজার আল-মাওয়াসি-তে তথাকথিত ‘নিরাপদ এলাকা’য় তাদের ক্লিনিকের গা ঘেঁষেও চলেছে হামলা। খান ইউনিসের পশ্চিম দিকে এই হামলায় একটি ছোট্ট মেয়ে-সহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। ইজরায়েল অবশ্য সদর্পে জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজা জুড়ে ৪৫টি নিশানায় হামলা চালিয়েছে তাদের বিমান। গাজা সিটির শুজাইয়া এলাকায় হামলার লক্ষ্য ছিলেন হামাসের এক শীর্ষস্থানীয় নেতা। ওই অঞ্চলে ঘাঁটি গেড়ে তিনি জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা করছেন বলে ইজরায়েলের দাবি। হামলার পরে সাধারণ মানুষের রক্তস্রোত বইলেও ওই হামাস নেতার পরিচয় বা তিনি বেঁচে আছেন কি না, এ সব কিছুই ভেঙে বলেনি ইজরায়েল। তবে জানিয়েছে, সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘লায়ন’স ডেন’-এর প্রাক্তন সদস্য মেহমুদ বানাকে পশ্চিম ভূখন্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধরা পড়েছেন খলিল হানবালি নামে এক অস্ত্র ব্যবসায়ী। দু’জনেই জঙ্গি কার্যকলাপের ছক কষছিলেন বলে ইজরায়েলের দাবি। ইজরায়েল সীমান্ত বরাবর গাজার ভূখন্ডের বেশ কিছু এলাকা দখল করে সেখানে নতুন করিডর তৈরির কথা ঘোষণা করেছে ইজরায়েল। তার জন্য গাজায় প্রবল পরাক্রমে হামলার কথাও জানিয়েছে তারা। সেই ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাজাবাসীর আশঙ্কা সত্যি করে, প্রবল আক্রমণ শানাতে শুরু করেছে ইজরায়েল। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫৫ জন প্যালেস্টাইনি নিহত হয়েছেন। গাজা স্ট্রিপের দক্ষিণে খান ইউনিস শহরের নাসের হাসপাতালে আজ ১৪টি দেহ এসেছে। তার মধ্যে ৯ জন একই পরিবারের। নিহতদের মধ্যে পাঁচ শিশু ও চার জন মহিলা। ওই শহরের ইউরোপীয়ান হাসপাতালে আনা হয়েছে আরও ২১টি দেহ। যার মধ্যে পাঁচ জন শিশু। তাদের সকলের বয়স ১ থেকে ৭ বছরের মধ্যে। নিহতদের তালিকায় রয়েছেন এক অন্তঃসত্ত্বাও। গাজা শহরের আহলি হাসপাতালে সাত শিশু-সহ ২১ জনের দেহ আনা হয়েছে। পাশাপাশি আজ শুজাইয়া, জাদিদা, তুর্কোমেন, জেইতুন-সহ গাজার বিভিন্ন এলাকা দ্রæত খালি করার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। তারা জানিয়েছে, হামাসকে নির্মূল করতে তারা আক্রমণের তীব্রতা আরও বাড়াবে। বাসিন্দারা যত দ্রæত সম্ভব যেন এলাকা খালি করে দেন। ক্রমাগত হামলা চালিয়েই যাচ্ছে ইসরায়েল।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখন্ডে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরও ৩৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও শতাধিক। নিহতদের মধ্যে ফিলিস্তিনি ৬ ভাইও রয়েছেন।
এর ফলে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার ৯৫০ জনে পৌঁছে গেছে। গত ১৮ মার্চ গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে ১৫০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সোমবার (১৪ এপ্রিল) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গাজায় ইসরায়েলিদের অবিরাম বোমাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। রোববার গাজা উপত্যকা জুড়ে হামলায় কমপক্ষে ৩৭ জন নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ছয় ভাইও রয়েছেন যারা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের খাবার সরবরাহ করছিলেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, গাজা শহরের আল-আহলি আরব হাসপাতালে ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলার পর চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হওয়ার কারণে এক ফিলিস্তিনি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে এই ইসরায়েলি হামলার ঘটনায় বিশ্বব্যাপী নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এদিকে সর্বশেষ এই প্রাণহানির ঘটনায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক আগ্রাসনে ভূখন্ডটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ হাজার ৯৪৪ জনে পৌঁছেছে বলে রোববার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি আক্রমণে আহত হওয়া আরও ১১১ জনকে গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে সংঘাতের শুরু থেকে আহতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১৬ হাজার ১৫৬ জনে পৌঁছেছে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি। দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। তারপর প্রায় দু’মাস গাজায় কম-বেশি শান্তি বজায় ছিল; কিন্তু গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে হামাসের মতানৈক্যকে কেন্দ্র করে মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ফের গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৫৭৪ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ৪ হাজার ১১৫ জন আহত হয়েছেন। ইসরায়েলের বর্বর এই হামলা চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে দিয়েছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখন্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এর আগে গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
অবরুদ্ধ এই ভূখন্ডে আগ্রাসনের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখিও হয়েছে ইসরায়েল। নারী শিশুর আর্তনাদে গাজার আকাশ বাতাস ভারী হয়ে আছে। কোথায় আজ মানবপ্রেম, কোথায় আজ মানবাধিকারের সুরক্ষা! মানব সভ্যতার চরম এক অবমাননা পরিলক্ষিত হচ্ছে। মানব মর্যাদা আজ ভূলুণ্ঠিত। কেন আমাদের মাঝে শুভ চেতনার জাগরণ ঘটছে না। এত বীভৎস ও নৃশংসতা দেখেও বিশ্ব মানবতা মুখে কুলুপ এঁটে আছে। মানবাধিকার, মানবতা বলে যারা বিশ্বব্যাপী জিকির তুলে ঘুরে বেড়াচ্ছে সেসকল দরদী বন্ধুরা গাজার এহেন ভয়াবহ নৃশংসতা দেখেও না দেখার ভান করছে। বিশ্ব স¤প্রদায়ের কুপ্রবৃত্তি সঞ্জাত মানসিকতার জন্য গাজা আজ ধ্বংস হতে চলেছে। নিষ্পাপ শিশু, নিরীহ নারী, ত্যাগী স্বাস্থ্যকর্মী কেহই বাদ যাচ্ছে না ইসরায়েলের বর্বরতা থেকে। মহান স্রষ্টার নিকট প্রার্থনা, তোমার মহিমা আরোতর উপলব্ধি ও অনুভবের লক্ষ্যে তোমার ঐশী ক্ষমতায় গাজাবাসীর সুরক্ষা নিশ্চিত করো। তোমার মহিমা জগৎ সংসারে উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতরো করতে এবং মানব অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে তোমার দৃষ্টি পড়ুক গাজায় বসবাসকারী নিরীহ নিপীড়িত এবং বঞ্চিত মানুষদের উপর। জয়তু গাজাবাসী।
লেখক : শিক্ষক, প্রাবন্ধিক