ইসরায়েল উত্তর গাজায় ক্রসিং পয়েন্টগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। এতে ভূখন্ডটিতে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে থাকা শত-সহস্র মানুষের জন্য ত্রাণ সরবরাহের সবচেয়ে সরাসরি পথ বন্ধ হয়ে গেছে। তবে গাজার দক্ষিণাঞ্চল দিয়ে এখনও ত্রাণ ঢুকছে বলে জানিয়েছেন দুই কর্মকর্তা। ইসরায়েল ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে ত্রাণ চুরির অভিযোগ করেছে।
এর মধ্যেই ভিডিওতে মুখোশধারী লোকজনকে ত্রাণবাহী ট্রাকের ওপর বসে থাকতে দেখা গেছে। স্থানীয় গোষ্ঠী নেতারা বলছেন, হামাস যাতে ত্রাণ চুরি করতে না পারে সেজন্য ট্রাকগুলো পাহারায় রাখা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাক পাহারার ওই দৃশ্য ছড়িয়ে পড়ার পরই উত্তরের ক্রসিং বন্ধের কথা জানান ইসরায়েলের কর্মকর্তারা। খবর বিডিনিউজ’র
ইসরায়েল সরকারের মুখপাত্র ডেভিড সাংবাদিকদের বলেন, দক্ষিণ দিক থেকে গাজায় ত্রাণ প্রবেশ অব্যাহত আছে। তবে উত্তর গাজায় কোনও ত্রাণ ঢুকছে কিনা সে ব্যাপারে তিনি সুনির্দিষ্ট কিছু জানান নি।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, হামাস যেন ত্রাণ দখল করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে দুই দিনের মধ্যে সেনাবাহিনীকে একটি পরিকল্পনা দিতে বলা হয়েছে। তবে হামাস ত্রাণ দখলের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ইরানে ১২ দিনের সংঘাতের পর আবার ইসরায়েল গাজায় দৃষ্টি দিয়েছে। উত্তর গাজায় ক্রসিং বন্ধের পদক্ষেপে ইসরায়েলের ওপর ক‚টনৈতিক চাপ বাড়বে। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ এরই মধ্যে গাজার পরিস্থিতিকে গণহত্যা আখ্যা দিয়েছেন।
ত্রাণ বন্ধ করে ইসরায়েল সহযোগিতা চুক্তির আওতায় মানুষের অধিকার রক্ষার বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করছে- একটি ইইউ প্রতিবেদনের উল্লেখ করে এমন কথাই বরেছেন পেদ্রো সানচেজ। তবে ইসরায়েল বরাবরই গাজায় কোনও গণহত্যা চালানো বা যুদ্ধাপরাধ সংঘটনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।