আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গাজার উত্তরের একটি হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি হামলায় গত ৪৮ ঘণ্টায় অন্তত ১২০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাতে শনিবার (২৩ নভেম্বর) ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
নিহতদের মধ্যে গাজার জেইতুন এলাকায় একই পরিবারের সাতজন রয়েছেন। গভীররাতে এক হামলায় তাদের বাড়ি ধ্বংস হয়। এছাড়া মধ্য ও দক্ষিণ গাজায় পৃথক হামলায় আরও অনেকে প্রাণ হারান।
ইসরায়েলি বাহিনী গাজার উত্তর প্রান্তে তাদের অভিযান জোরদার করেছে। তাদের দাবি, হামাসের আক্রমণ প্রতিরোধ ও দলটির পুনর্গঠন ব্যাহত করা অভিযানের উদ্দেশ্য। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ , গাজা উপত্যকার কিছু অংশকে স্থায়ীভাবে খালি করতে আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তেল আবিব।
গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালের পরিচালক হুসাম আবু সাফিয়া বলেন, শুক্রবার বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের প্রবেশপথ কয়েকবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ১২ জন কর্মী আহত হন। এছাড়া, জেনারেটর, অক্সিজেন সরবরাহ নেটওয়ার্ক ও পানির লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর প্রাথমিক পর্যালোচনায় হাসপাতালের আশপাশে হামলার কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি বলে দাবি করা হচ্ছে। গাজায় ১৩ মাসব্যাপী ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৪ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।
তাদের ২৩ লাখ জনগোষ্ঠীর প্রায় পুরোটাই হয়েছে বাস্তুচ্যুত। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় এই আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল। ওই হামলায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত ও ২৫০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে দাবি করে আসছে দেশটি। কাতারের মধ্যস্থতায় একাধিকবার যুদ্ধবিরতির আলোচনা চললেও তা তেমন অগ্রগতি হয়নি।
বর্তমানে আলোচনা স্থগিত রয়েছে। হামাস যুদ্ধের অবসান চাইলেও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, যুদ্ধ শেষ হবে কেবল হামাস সম্পূর্ণ নির্মূল হওয়ার পর।