আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গাজা উপত্যকাজুড়ে পোলিও টিকা কর্মসূচির মধ্যেই ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৪৮ জন নিহত হয়েছে। অথচ জাতিসংঘের পোলিও কর্মসূচি উপলক্ষে দৈনিক ৮ ঘণ্টা যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা দিয়েছিল ইসরায়েল। শনিবার (৩১ আগস্ট) ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গাজার মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
গাজাজুড়ে প্রায় ৬ লাখ ৪০ হাজার শিশুকে পোলিওর বিরুদ্ধে টিকা দেওয়া শুরু করেছে জাতিসংঘ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এ উপলক্ষে একদিন আগেই ব্যাপক অভিযান না চালানো ও সীমিত যুদ্ধবিরতির জন্য চুক্তি হয়েছে ইসরায়েল ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মধ্যে।
গাজার উপ-স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইউসুফ আবু আল-রিশ বলেছেন, একটি কার্যকর যুদ্ধবিরতিই সব শিশুকে পোলিও টিকা কর্মসূচির আওতায় আনার নিশ্চয়তা দিতে পারে। যদিও টিকাদান কর্মীরা সব এলাকায় যাওয়ার চেষ্টা করবে। কিন্তু ইসরায়েল রাজি হলেও, এখনও বেশিরভাগ এলাকায় অভিযান চলছে। টিকাদান দলগুলো যতটা সম্ভব এলাকায় যাওয়ার চেষ্টা করবে বিস্তৃত কভারেজ নিশ্চিত করার জন্য কিন্তু তিনি বলেন, শুধু একটি ব্যাপক যুদ্ধবিরতিই নিশ্চিত করতে পারে যে পর্যাপ্ত শিশুরা পৌঁছেছে। দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যদি সত্যিই এই কর্মসূচি সফল করতে চায়, তাহলে যুদ্ধবিরতির ডাক দেওয়া উচিত। শনিবার আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি শুরুর আগে নাসের হাসপাতালের ওয়ার্ডে কিছু শিশুকে টিকা দেওয়া হয়। ডবিøউএইচও কর্মকর্তারা বলেছেন, কর্মসূচি সফল করতে অন্তত ৯০ শতাংশ শিশুকে চার সপ্তাহের মধ্যে দুই ডোজ টিকা নিতে হবে যা গাজায় প্রায় অসম্ভব।
এমনিতেই সেখানে গত ১১ মাসের যুদ্ধে প্রায় বিধ্বস্ত হয়েছে পুরো এলাকাটি। তার ওপর এখনও হামলা চলছে। শনিবার গাজার আটটি শরণার্থী শিবিরে কর্মসূচি শুরুর জন্য প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল। কিন্তু নুসেইরাত শিবিরে আলাদা ইসরায়েলি হামলায় একই পরিবারের ৯ জনসহ অন্তত ১৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজার অন্যান্য এলাকায় একের পর এক হামলায় ৩০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি অভিযানে নিহত হয়েছে অন্তত ৪০ হাজার ৬৯১ ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৯৪ হাজার ৬০ জন।