গত দু’দিনে বেড়েছে পেঁয়াজ, চাল আলু ও ব্রয়লার মুরগির দাম

1

রাঙামাটি প্রতিনিধি

রাঙামাটির সবজি বাজার যেন আগুনে পুড়ছে। গত দু’দিনে বেড়েছে পেঁয়াজ, চাল ও আলুর দাম। ক্রেতারা বাজারে গিয়ে তাদের চাহিদামত শাক সবজি কিনতে পারছে না। এখনো সিন্ডিকেটের কবলে হাট-বাজার এবং শাকসবজি। যেন দেখার কেউ নেই।
ক্রেতারা বলেন, পাবলিক সেন্টিমেন্ট কেউ বুঝে না। মধ্যবিত্ত ও গরিবের কথা কেউ চিন্তাও করে না। যে ব্যক্তি ৫০ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করে সে ও আলু কিনে আর যে ৫ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করে সেও আলু কিনে। কিন্তু আলু ১শ’ টাকা হলেও ৫০ হাজার টাকা বেতনের চাকরিজীবীর গায়ে লাগে না । ৫হাজার টাকা বেতন চাকরিজীবীর গায়ে লাগে। তাহলে এবার ঝুঝেন মধ্যবিত্তদের অবস্থা কেমন যাচ্ছে। এভাবে বাজারে প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম হু-হু করে বেড়েই চলছে। শুক্রবার সকালে বনরুপা বাণিজ্যিক কেন্দ্র সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিটি দ্রব্যমূল্য ও শাক সবজির দাম বেড়েই চলছে। তবে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে প্রতিদিনই লোক দেখানো মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। কাউকে কঠিনভাবে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না। বাজারে সব ধরনের সবজি ও তরিতরকারির দাম বেড়েছে।
তরিতরকারি দাম বৃদ্ধি পেয়ে এখন- ফুল কপি কেজি ১২০ টাকা, কাকরল কেজি ১৩০ টাকা, ঝিঙ্গা কেজি ৮০-৯০ টাকা, বরবটি কেজি ১২০ টাকা, শীতকালিন শিম কেজি ২০০ টাকা, কাঁচা মরিচ কেজি ২০০ টাকা, গাজর কেজি ২২০ টাকা, টমেটো কেজি ২০০ টাকা, আলু কেজি ৬০-৭০ টাকা, পেঁয়াজ কেজি ১২০ টাকা। এভাবে সব কিছুর দাম বেড়ে গেছে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে ক্রেতারা বলেন, বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের সিন্ডিকেট এখনো রয়ে গেছে। এই সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেওয়া না হলে এভাবেই চলবে বাজার দর। জনগণের চাহিদা প্রাপ্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিয়ে ক্রেতাদের নাগালে নিয়ে আসতে হবে। তবেই সরকারের সমালোচনা হবে না। ২০ টাকার পেঁয়াজ ১২০ টাকা ও ৫০ টাকার রসুন এখন ২০০ টাকার উপরে । জনগণ আর কত সহ্র করবে। দয়া করে অন্তর্বর্তী সরকার এসব যেন দ্রæত সমাধান করে- দাবি জানাই। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন অন্য কথা। ‘বেশি দামে কিনতে হয় তাই ক্রেতাদের কাছে ও বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।’
ক্রেতারা বলছেন, ক্রেতাদেরকে শুভংকরের ফাঁকি দিচ্ছে ব্যবসায়ীরা। আর প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান ধরে বসে আছে। আওয়ামী লীগ সরকার থাকতে আমরা যে ভাবে ব্যবসা করছি এখনো সে ভাবে ব্যবসা করছি। বরং আগে তুলনায় এখন সব কিছুর দাম একটু হলেও কমেছে।
জেলা প্রশাসনরে দায়িত্বরত মার্কেটিং অফিসার মোঃ সেলিম মিয়া নিয়মিত বাজার মনিটরিং করার কথা থাকলেও এই কর্মকর্তাকে সঠিকভাবে তরারকি করতে দেখা যায় না এমন অভিযোগ ক্রেতাদের। জেলা প্রশাসন মাঝেমধ্যে মোবাইল কোর্টে গিয়ে নাম মাত্র জরিমানা করে চলে আসেন।