পটুয়াখালীর গলাচিপায় বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের পর স্থানীয় প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধার মধ্যে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে নুরুল হক নুর বলেছেন, “গণঅধিকার পরিষদ ভেসে আসেনি।”
তিনি বলেন, “ফ্যাসিস্ট হাসিনার রক্তচক্ষু অপেক্ষা করে নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়ে আজ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণঅধিকার পরিষদ শান্তিপূর্ণভাবে নিজ এলাকায় রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।” খবর বিডিনিউজ’র
গতকাল শুক্রবার বিকালে গলাচিপা উপজেলা রেস্ট হাউসের সামনে গণঅধিকার পরিষদের অফিস ভাঙচুর, নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও দোকাপাট-বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগসহ সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি এসব কথা বলেন।
এতে শুরুতে নুর বলেন, “আপনাদের (সাংবাদিক) ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ১৪৪ ধারার মধ্যেও আপনারা সাংবাদিকরা কষ্ট করে এসেছেন।”ডিসিসহ স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “আমি যতদূর তথ্য পেয়েছি, ডিসি সাহেব, ওসি সাহেব, ইউএনও সাহেবসহ এখানে লোকাল প্রশাসন ব্যাপকভাবে চাপ তৈরি করছে, আমি যেন এখানে সংবাদ সম্মেলন করতে না পারি; কথা বলতে না পারি। আমার কোনো নেতাকর্মী যেন এখানে আসতে না পারে। তাই মনে হচ্ছে যে, ডিসি আমার প্রতিপক্ষ, এই পটুয়াখালীর ডিসি গণঅধিকার পরিষদের প্রতিপক্ষ হয়ে গেছে। আসলে কারণগুলো আমি খুঁজে পেলাম না, ডিসির এমন আচরণ কেন হবে?”
তার অভিযোগ, বকুলবাড়িয়াতে পথসভা করতে গিয়ে বিএনপি নেতা হাসান মামুনের অনুসারীদের হাতে রাতভর অবরুদ্ধ হয়ে থাকতে হয়েছে। রাস্তার মাঝে গাছ ফেলে রামদা, হকিস্টিক দেশীয় অস্ত্রসহ প্রকাশে মহড়া দিলেও পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা কোনো নিরাপত্তা দিতে পারেনি।
নুরুল হক বলেন, “আমরা চাইলে এর জবাব দিতে পারতাম। কিন্তু আমরা তা চাইনি। এলাকায় কোনো সহিংসতা হোক, আতঙ্ক ছড়িয়ে পরুক, এটা আমার চাই না। তাই নিজেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমরা আমাদের উপজেলায় পৌঁছেছি।”