চন্দ্রঘোনা খ্রিস্টিয়ান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গত ১৫ ডিসেম্বর হাসপাতাল ডে উদযাপিত করেছে। ১৯০৭ সালে এ দিনে এ অঞ্চলের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতের লক্ষে হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে কাপ্তাই রাঙ্গুনিয়া ও পার্বত্য এলাকার চিকিৎসাসেবা বঞ্চিত মানুষের নিকট চিকিৎসা সেবার পথ প্রর্দশক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। হাসপাতাল ডে পালন উপলক্ষে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মচারীদের সম্মাননা প্রদান, হাসপাতালের ওয়েবসাইড উদ্বোধন, র্যাফেল ড্র, পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান হাসপাতাল হল রুমে গত ১৫ ডিসেম্বর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডাক্তার প্রবীর খিয়াং এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কাপ্তাই ডিজিএফআইয়েরে সিও লে. কমোডোর মো. নাঈদ। এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিপ্লব মার্মা ও ডাক্তার রাজীব শর্মা ডাক্তার বিলিয়ম সাংমা প্রমুখ। হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডাক্তার প্রবীর খিয়াং জানান, সামনের পথ চলাতে খ্রিস্টিয়ান হাসপাতালকে মেডিকেল কলেজ করার পরিকল্পনা নিয়ে আমরা এগুচ্ছি।
হাসপাতালে গত বছরে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন ৪২২৬ জন রোগী। তার মধ্যে আউডডোরে চিকিৎসা নিয়েছেন ২৩২৪জন। আর হাসপাতাল থেকে ফ্রি চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন ১৬৮৭ জন। জানা যায়, হাসপাতালের অধীনে নাসিং টেনিং ইনস্ট্রিটিউট, কুষ্ঠ হাসপাতাল, সামাজিক স্বাস্থ্য সেবা (সিএইচপি) প্রজেক্ট চালুর মার্ধ্যমে হাসপাতালটি চিকিৎসা সেবায় দেশে ও বিদেশে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। এ ছাড়াও এলাকায় দুঃস্থ রোগীদের ফ্রি চিকিৎসা ঔষধ প্রদান করে মানবতার সেবায় গত ১শ ১৫ বছর সেবা মূলক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। বৃহত্তর চট্টগ্রামের একমাত্র কুষ্ট হাসপাতাল হিসেবে ১৯১৩ সালে ৬০ বেডের হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। এখান থেকে কুষ্ট রোগীরা বিনামূল্যে থাকা খাওয়া ও চিকিৎসা এবং ঔষধ নিয়ে খুষ্ট রোগ ভাল করে নিজ এলাকায় ফিরে যান। চন্দ্রঘোনা খ্রিস্টিয়ান হাসপাতালটি ১শ শর্য্যা হলেও যখন রাঙ্গুনিয়া কাপ্তাই পার্বত্য অঞ্চলে চিকিৎসা সেবার কোন প্রতিষ্ঠান না ছিলনা এ হাসপাতাল যে লক্ষ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে তার লক্ষমাত্রাথেকে কোন সময় বিচ্যুতি হয়নি। হাসপাতালে বিদেশী বিশেজ্ঞ ডাক্তার টিম দিয়ে এলাকার জটিল রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবা সহজ করে দেয়।