খুনিদের পুনর্বাসন করতে চাইলে আবার রাজপথে নামব : সারজিস

2

নিজস্ব প্রতিবেদক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, ‘খুনিরা নতুন করে ফিরে আসছে, নতুন গল্প লিখছে। খুনিরা কোনোভাবেই যেন পুনর্বাসনের সুযোগ না পায়, সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। ৫ আগস্টের আগে যেমন আমরা এক সঙ্গে জীবন দিতে প্রস্তুত ছিলাম, তেমনি খুনিদের বিচার নিশ্চিত করতে এবং সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে আবারও একসঙ্গে জীবন দিতে প্রস্তুত আছি।’
গতকাল শনিবার দুপুরে নগরীর পিটিআই অডিটোরিয়ামে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে চট্টগ্রাম বিভাগে জুলাই অভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবারে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় চট্টগ্রাম বিভাগের ১০৫ জন শহিদ পরিবারের প্রত্যেককে ৫ লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে শহিদ পরিবারের সদস্যদের অনেকেই স্মৃতিচারণ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
সারজিদ বলেন, ‘যতই সান্ত¡না দিই, আর্থিক সহযোগিতা দিই, একজন সন্তানের অভাব, একজন জীবনসঙ্গীর অভাব, একজন ভাইয়ের অভাব কোনোদিনও পূরণ করতে পারবো না। যারা খুনিদের পুনর্বাসন করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে আমরা দ্বিতীয়বার রাজপথে নেমে জীবন দিতে প্রস্তুত। আমরা আমাদের জায়গা থেকে জীবন দিতে শিখে গিয়েছি। আবারো একসঙ্গে জীবন দিতে প্রস্তুত আছি। এই বাংলাদেশে কোনো দালাল, কোনো তোষামোদকারীর আর জায়গা হবে না।’ তিনি আরো বলেন, ‘খুনি হাসিনা বাংলাদেশ পুলিশকে টিস্যুর মতো ব্যবহার করেছেন। পুলিশ দিয়ে দেশের মানুষকে খুন করেছেন। পুলিশ নামক এই প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশে একটি কথা বলতে চাই। আপনাদের পোশাক দেখে এখনও আমাদের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি হয়। এর জন্য যেমন খুনি হাসিনা দায়ী, তেমনি আপনাদের ব্যক্তিত্বও দায়ী। ক্ষমতার লোভে, পদের লোভে আপনাদের অনেকে ওই পোশাক পরে সারা বাংলাদেশে নানা কুকর্ম করেছেন।’
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন, পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুল কাদের, রাসেল আহমেদ, কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সদস্য তাসনিম জারা। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) অং সুই প্রু মারমা, চট্টগ্রাম রেঞ্জের অ্যাডিশনাল ডিআইজি সঞ্জয় সরকার ও জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম।