খুটাখালীতে সাবেক এমপি জাফরের দোসররা ফের সক্রিয় হচ্ছে

1

ঈদগাঁও প্রতিনিধি

জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতাকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যার দায় মাথায় নিয়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর তার দোসর বাইট্টা জাফরকে আগামীকাল রবিবার চকরিয়া আদলতে হাজির করা হচ্ছে। এমনতর খবরে উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের বাইট্টা জাফরের সহযোগিরা কিছুদিন চুপ থাকলেও নানা কৌশলে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে।
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের অনুচররা চকরিয়াকে অস্থিতিশীল করার যে পরিকল্পনা করছে, তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আওয়ামী সুবিধাভোগী কিছু বামপন্থি গোষ্ঠী। সাম্প্রতিক সময়ে তাদের অপতৎপরতা দৃশ্যমান হওয়ায় নড়েচড়ে বসেছে চকরিয়া থানা পুলিশ। তবে স্থানীয়দের প্রশ্ন কেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে না। যার কারণে আওয়ামী দুর্বৃত্তচক্রটি নামে-বেনামে ঢুকে পড়ছে মূল স্রোতের সঙ্গে।
এ নিয়ে জোর তাগিদ দিয়েছেন ফ্যাসিস্টবিরোধী রাজনৈতিক নেতা ও খুটাখালীর ছাত্রসমাজ। তারা বলেছেন, এ বাংলায় ফ্যাসিস্টদের আর ঠাঁই হবে না। তারা পোশাক বা রং বদলে জনস্রোতের সঙ্গে ঢোকার চেষ্টা করলেও তা প্রতিহত করা হবে।
সূত্র জানায়, বাইট্টা জাফরের ভাগিনা খুটাখালী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার নুরুল আজিম, তার চাচা যুবলীগের সহ সভাপতি মীর কাশেম, সৈনিকলীগ নেতা ইমাম শরীফ, তাদের দোসর হাসান ফারুক, ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার নুরুল আজিম সিদ্দিকী, তার ভাই আ.লীগ নেতা মাহমুদুল করিম, সাবেক মেম্বার যুবলীগ নেতা ওয়াশিম আকরাম, নাজিম উদ্দীন হেলালী, যুবনেতা বাইট্টা জাফরের বাড়ির কামলা আবদু রশিদ পেঠান, ডানহাত খ্যাত আকতার কামাল, ৩নং ওয়ার্ড আ.লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দিন, যুবলীগ নেতা শাহ আলম, সুরত আলম ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাদ্দাম হোসেনের তৎপরতা ও তাদের পেছনে কারা ইন্ধন দিচ্ছে তা চিহ্নিত করতে কাজ করছে পুলিশ।
খুটাখালী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন মেসি জানান, বিগত ২০০৯ সাল থেকে রাজপথে জাফরের নেতৃত্বে চকরিয়ার ৮ জন বিএনপি নেতাকে হত্যা করা হয়।
আওয়ামী লীগের ক্ষমতা ব্যবহার করে জাফর আলম এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ায় ভুক্তভোগির পরিবার মামলা করতে পারেনি। এ দিকে জাফর আলমকে রবিবার আদালতে হাজির করা হবে এমন খবরে খুটাখালীতে জাফর বাহিনী বড় ধরনের নাশকতার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ইউনিয়নের দাগি সন্ত্রাসীরা গোপন মিশন হাতে নিয়েছে বলে শুনা যাচ্ছে, এসব অপতৎপরতা রুখে দিতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজনের নিকট অনুরোধ জানাচ্ছি।
চকরিয়া থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, নাশকতার নেপথ্যের কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। তাদের পেছন কারা কলকাঠি নাড়ছে, কারা মাঠে বাস্তবায়নে ছিল সেটিও খোঁজা হচ্ছে।