খুটাখালীতে চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ লবণচাষিরা

0

ঈদগাঁও প্রতিনিধি

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীতে চাঁদাবাজের অত্যাচারে অতিষ্ঠ লবণচাষীরা অবশেষে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। গত বুধবার খুটাখালী এলাকার লবণচাষী দেলোয়ার হোছাইন বাদী হয়ে স্থানীয় কামাল হোছনের ছেলে রহিম উদ্দিন, জিয়া উদ্দিন বাবলুসহ ৪ জনকে বিবাদী করে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী সাইদুর রহমান সাঈদ বলেন, খুটাখালী বড় নাইপেরঘোনা নামক লবণমাঠে উৎপাদিত প্রতি মণ লবণ থেকে ২ টাকা করে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে যাচ্ছে স্থানীয় কামাল মেম্বারের ছেলে রহিম উদ্দিন ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা। এমন অভিযোগ নিয়ে খুটাখালী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ ফুলছড়ি এলাকার নুর হোসেনের ছেলে ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে বুধবার দুপুরে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি ফৌজদারি দরখাস্তের আবেদন করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (পিবিআই) কক্সবাজারের পুলিশ সুপারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন।
মামলার বাদী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা দেলোয়ার হোছাইন জানান, খুটাখালী বড় নাইপের ঘোনা নামক লবণ মাঠের চাষীদের কাছ থেকে প্রতিমণ লবণ থেকে ২ টাকা হারে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করছে স্থানীয় রহিম উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। তিনি আরও জানান, গত ১৭ অক্টোবর লবণচাষীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির সময় স্থানীয় মুজিবুর রহমানসহ একদল লবণচাষী প্রতিবাদ করলে রহিম উদ্দিনসহ সন্ত্রাসীরা লবণ চাষীদেরকে প্রাণে মারার হুমকি দেয়।
দেলোয়ার বলেন, চাঁদাবাজির প্রতিবাদে স্থানীয় লবণচাষীরা ইতোমধ্যে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। তিনি আরও বলেন, চিহ্নিত চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে এত প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও চকরিয়া থানায় মামলা না নেওয়ায় বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আমরা আশাবাদী, খুটাখালী বড় নাইপেরঘোনার ৬৬৪ কানি লবণ মাঠের চাষীরা এবার চাঁদাবাজি থেকে মুক্ত হবে ও ন্যায়বিচার পাবে।