খালেদা জিয়ার মতো গণতন্ত্রের সংগ্রাম বিশ্বে আর কেউ করেনি

4

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া শুধু বাংলাদেশের নেত্রী নন। এই উপমহাদেশে তিনি সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। নারী নেত্রীদের মধ্যে বিশ্বে গণতন্ত্রের জন্য এত লড়াই সংগ্রাম আর কেউ করেনি। আমাদের নেত্রী রাজনীতিতে এত সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছেন, যা অন্য কেউ করেনি। অথচ শেখ হাসিনার অবৈধ সরকার তাকে অন্যায়ভাবে বন্দি করে দেশের গণতন্ত্রকে বন্দি করে রেখেছিলো। কিন্তু ছাত্র জনতার গণআন্দোলনের মুখে দেশ আবার নতুন করে স্বাধীন হওয়ার পর দেশের জনগণের কাছে আজ খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্র যেন সমার্থক। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি গণতন্ত্রের মুক্তি। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার সংগ্রামের আপোষহীন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ফলে ফ্যাসিস্ট, তাবেদার সরকারকে হটিয়ে জনগণের বাকস্বাধীনতা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম সফল হয়েছে।
তিনি গতকাল শুক্রবার বাদে আসর কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন জামে মসজিদে বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে মহানগর বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। দোয়া মাহফিলে বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘায়ু, শারীরিক সুস্থতা ও রোগমুক্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পাশাপাশি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোসহ মৃত্যুবরণকারী নেতাকর্মীদের রুহের মাগফেরাত কামনা এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও অসুস্থ নেতাকর্মীদের রোগমুক্তি কামনা করে দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন জামে মসজিদে খতিব মাওলানা এহসানুল হক। এতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, মহানগর বিএনপির আহব্বায়ক এরশাদ উল্লাহ ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান।
এসময় এরশাদ উল্লাহ বলেন, ২০১৮ সালে পতিত স্বৈরাচার হাসিনার অবৈধ সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে নির্জন কারাগারে পাঠিয়ে উনার জীবন মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছেল। শুধু ফরমায়েশি সাজা দিয়ে তাকে আটক রাখা হয়নি, তার প্রাপ্য জামিনের অধিকার কেড়ে নিয়ে অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দি রেখেছিল। কারাগারে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শর্ত সাপেক্ষে অবৈধ সরকার তার সাজা ৬ মাসের জন্য স্থগিত করে তাকে প্রকারান্তরে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিলো। উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে উন্নত বিশেষায়িত হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করানোর সুপারিশ করলেও সরকার তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেয়নি।
নাজিমুর রহমান বলেন, বেগম খালেদা জিয়া জনগণের কল্যাণে অধিকার আদায়ে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নিরন্তরভাবে লড়াই করে চলেছেন। তার আপোষহীন নেতৃত্বের কারণেই ৯০ সালে স্বৈরাচারের পতন হয় এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের নবযাত্রা শুরু হয়েছে। পরবর্তীতে জনগণের বিপুল রায়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে তিনি স্বৈরাচারের ধ্বংসস্তুপের ওপর আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের যাত্রা শুরু করেছিলেন। এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপি নেতা এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, সৈয়দ আজম উদ্দিন, এস কে খোদা তোতন, হারুন জামান, শফিকুর রহমান স্বপন, ইকবাল চৌধুরী, এস এম আবুল ফয়েজ, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইস্কান্দার মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আনোয়ার হোসেন লিপু, মো. কামরুল ইসলাম, কোতোয়ালি থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, চান্দগাঁও থানা বিএনপির সভাপতি মো. আজম, বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি হানিফ সওদাগর, চকবাজার থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুর হোসাইন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, তাঁতীদলের আহব্বায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, জাসাসের আহব্বায়ক এম এ মুছা বাবলু, সদস্য সচিব মামুনুর রশীদ শিপন, ছাত্রদলের সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব এড. আবদুল আজিজ প্রমুখ। খবর বিজ্ঞপ্তির