‘খাদ্যাভ্যাসের কারণেই চট্টগ্রামের মানুষ বেশি হৃদরোগের ঝুঁকিতে’

1

‘খাদ্যাভ্যাসের কারণেই চট্টগ্রামের মানুষ সবচেয়ে বেশি হৃদ্রোগের ঝুঁকিতে থাকেন। এজন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং শরীরের যত্ম নিতে হবে। জিনগত, খাদ্যাভ্যাস, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসসহ নানা কারণে হার্টের ঝুঁকি বাড়ে। এ জন্য নিয়মিত ব্যায়াম, কায়িক পরিশ্রম এবং নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করে ঝুঁকি কমানো সম্ভব’।
গতকাল রবিবার বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম হার্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা এসব কথা বলেন।
হার্ট ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালামের সভাপতিত্বে সার্কিট হাউস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম। এতে মুখ্য আলোচক ছিলেন হার্ট ফাউন্ডেশনের মহাসচিব অধ্যাপক প্রবীর কুমার দাশ। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম ও চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. ওমর ফারুক ইউসুফ। ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি এসএম আবু তৈয়বের সঞ্চালনায় সভায় অংশগ্রহণ করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তারেক ইকবাল ও ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ নাসির উদ্দিন চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম বলেন, সমাজের বিত্তবান মানুষ যদি এগিয়ে আসেন তাহলে হার্ট ফাউন্ডেশন আরও গতি পাবে। পাশাপাশি গরিব মানুষের জন্য একটা ভালো চিকিৎসাকেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি দাঁড়াতে পারবে। আমরা চাই- দিন দিন হার্টের রোগী কমে আসুক। এজন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে হার্ট ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় হার্ট ফাউন্ডেশন এগিয়ে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত দুই হাজারের বেশি রোগীকে স্বল্প খরচে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। বেশ কিছু যন্ত্রপাতিও কেনা হয়েছে। এজন্য মানুষের আরও সহযোগিতা দরকার। চট্টগ্রামে আমরা বড় বড় মেজবান করি। আবার মেজবানের খাদ্যাভ্যাসের কারণে হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ে। এজন্য আমরা অনেককে পরামর্শ দিয়ে থাকি- মেজবানের খরচ সীমিত করে কিছু টাকা হার্ট ফাউন্ডেশনের দান করতে। এতে গরিব-অসহায় রোগীরা সেবা পাবে।
মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে অধ্যাপক প্রবীর কুমার দাশ বলেন, একসময় উন্নত বিশ্বের রোগ ছিল হৃদ্রোগ। এখন আমাদের মতো দেশগুলোয় এই রোগের ঝুঁকি বেড়েছে। মানুষের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে হৃদ্রোগ। চট্টগ্রামের মানুষের মধ্যে খাদ্যাভ্যাসজনিত কারণে এই রোগের ঝুঁকি বেশি।
অধ্যাপক ওমর ফারুক ইউসুফ বলেন, জিনগত, খাদ্যাভ্যাস, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসসহ নানা কারণে হার্টের ঝুঁকি বাড়ে। এ জন্য নিয়মিত ব্যায়াম, কায়িক পরিশ্রম এবং নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করে ঝুঁকি কমানো সম্ভব।
এতে সহযোগিতা করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান রেনাটা। এর আগে রবিবার সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ৭ টা পর্যন্ত হার্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে চট্টগ্রাম ডিসি হিল প্রাঙ্গণে বিনামূল্যে ডায়াবেটিক পরীক্ষা ও সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ, সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বিনামূল্যে হার্ট চিকিৎসা প্রদান করা হয়। বিজ্ঞপ্তি