খসরুসহ বিএনপির শীর্ষ ৪ নেতার বাড়িতে হামলা

14

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন, সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, নগর বিএনপির আহব্বায়ক এরশাদ উল্লাহর বাসায় হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে আটটা থেকে নয়টার মধ্যে এসব নেতাদের বাসায় হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীনের ছেলে ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দীন বলেন, ‘আমার আব্বা অসুস্থ থাকায় চট্টগ্রামের বাসায় পরিবার নিয়ে অবস্থান করছেন। সন্ত্রাসীরা গেট ভেঙে বাসায় ঢুকে একটি প্রাডো, একটি জিপ ভাঙচুর করেছে। বাসার মূল দরজায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে ভাঙার চেষ্টা করেছে, তবে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়।’
আমীর খসরুর পুত্র ইসরাফিল খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা পুরো পরিবার ঢাকায় অবস্থান করছি। আব্বা গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে এখনো সাক্ষাৎ করতে পারিনি। তিনি অসুস্থ বলার পরও ওষুধ পর্যন্ত দিতে দিচ্ছে না। এমন সময়ে চট্টগ্রামের বাসায় হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। বাসায় পরিবারের কোন সদস্য ছিল না। বাসার কেয়ারটেকাররা জানিয়েছেন, হামলা ও অগ্নিসংযোগের কথা।’
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক এরশাদ উল্লাহ জানান, ‘গত ১০ দিন ধরে বাসায় থাকতে পারছি না পুলিশের অত্যাচারে। এরই মধ্যে আমার পাঁচলাইশ আবাসিকের বাসায় হামলা চালানোর খবর পেয়েছি। বাসায় আমি না থাকলেও স্ত্রী, সন্তান ও পুত্রবধূ ছিল। সন্ত্রাসীরা ভাঙচুর করার পর গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে।’
নগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইদ্রিস আলী জানান, ‘আওয়ামী সন্ত্রাসারী বিএনপির কেন্দ্রীয় সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও নগরের সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের বাসায় অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এসময় বাসার নিচে পার্কিয়ে থাকা ১০-১২টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অগ্নিসংযোগের কারণে ধোঁয়ায় পুরো ভবনের বাসিন্দারা আটকা পড়ে। পৌনে নয়টার দিকে নগর বিএনপির আহবায়ক এরশাদ উল্লাহর পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার বাসায়ও হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা এবং অগ্নিসংযোগও করা হয়েছে। এরপরই নগরীর মেহেদীবাগ এলাকায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বাসভবনে হামলা ও অগ্নিসযোগ করা হয়েছে।’