ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রামের ১৫ দফা

10

পূর্বদেশ অনলাইন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ চট্টগ্রামের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দ্রুত শিক্ষা কার্যক্রম চালু, সকল ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধসহ ১৫ দাবি উত্থাপন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম।
গতকাল শনিবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুকী আজম বীর প্রতীকের সাথে মত বিনময় সভায় তারা এই দাবিগুলো পেশ করেন। দাবিগুলো হচ্ছে- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করার লক্ষ্যে দ্রুত সময়ের মধ্যে দলনিরপেক্ষ ও শিক্ষা এবং গবেষনাবান্ধব প্রশাসন নিয়োগ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ফ্যাসিবাদের দোসর যেন নিয়োগ না পায়, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দলীয় সকল ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ এবং ছাত্রদের প্রতিনিধিত্বশীল নেতৃত্ব নিশ্চিত করতে ছাত্র সংসদ চালু করতে হবে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে যে সকল প্রশাসনিক কর্মকর্তা অতি উৎসাহী হয়ে হত্যাকান্ডে এবং দমন নিপীড়নে জড়িত তাদেরকে চাকরি থেকে বহিষ্কার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া আওয়ামী দলীয় ক্যাডারদের মধ্যে যারা হামলা ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত তাদেরকে দ্রুত সময়ে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে, রাষ্ট্রীয় ভাবে শহীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়ন এবং শহীদ পরিবারে পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে, শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নামকরণ করতে হবে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের উন্নত চিকিৎসা ও নিহতদের আর্থিক ক্ষতিপূরনের ব্যবস্থা করতে হবে, খুনি হাসিনাসহ পলাতক আওয়ামী সন্ত্রসীদেরকে আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সকল পর্যায়ে দুর্নীতিগ্রস্ত ও দলীয় পরিচয় ভিত্তিতে নিয়োগ প্রাপ্তদের সরিয়ে যোগ্য ও মেধাভিত্তিক নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে, বৈষম্য দূরীকরণে সুশাসন এবং গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সংবিধানের যুগোপযোগী পরিবর্তন করতে হবে, বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্টার লক্ষ্যে অন্তরবর্তী কালীন সরকারের উপদেষ্টা সহ দেশের সকল গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিশেষ সুবিধা বাদ দিতে হবে, শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনের লক্ষ্যে বর্তমান শিক্ষা কারিকুলাম পরিবর্তন করে নতুন শিক্ষা কারিকুলাম প্রনয়ণ করতে হবে, আন্তর্জাতিক মানদন্ড বজায় রেখে শিক্ষাখাতে মোট বাজেটের ১৫–২০% বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে, আওয়ামী সরকারের আমলে বন্ধকৃত রাষ্ট্রীয় কলকারখানা দ্রুত সময়ে চালু করতে হবে, শ্রমিকদের প্রাপ্য আধিকার নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক শ্রম আইনে বাস্তবায়ন করতে হবে, শিক্ষাখাতে বৈষম্য দূরীকরণে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অন্যায় ভাবে অতিরিক্ত টিউশন ফি বাতিল করতে হবে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান উন্নয়নে এবং সেশনজট মুক্ত করতে ব্যবস্থা করতে হবে, প্রবাসে অবস্থানরত রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের ন্যায় অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষে প্রতিবাদ করতে গিয়ে যারা আটক হয়েছে তাদের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে মুক্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এ ব্যপারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষে আমরা দাবিগুলো প্রস্তাব আকারে দিয়েছি। আমরাদের সব দাবিই যৌক্তিক।#