ক্যাঙারুর দেশে পরিযায়ী বেশে

1

আমানউদ্দীন আবদুল্লাহ

গত সংখ্যার পর

ধর্মীয় উৎসব পালনের ক্ষেত্রে এখানকার মুসলিম সমাজ দুই ভাগে বিভক্ত। একদল সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রোজা ঈদ পালন করে। অস্ট্রেলিয়ান ইসলামি ফতোয়া বোর্ড অত্যন্ত শক্ত সংগঠন। বহু আলেম ওলামা নিয়ে গঠিত এই সংগঠন সরকার অনুমোদিত। মেলবোর্ন গ্র্যান্ড মস্ক এবং ইসলামী কলেজ তাদেরই তত্ত¡াবধানে পরিচালিত হয়ে থাকে। এখানে সকাল সাতটা থেকে দশটা পর্যন্ত পর পর চারটা ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। আমরা সকাল সোয়া সাতটায় রওয়ানা হয়ে ফ্রী ওয়েতে প্রচÐ জ্যামের কারণে নয়টার জামাতে শরীক হতে পেরেছি। বিভিন্ন দেশের মুসল্লিদের ভীড়ে বেশ কিছু বাঙালি পরিবারের দেখা পেয়েছি। শহিদুল্লাহর কাছে শুনলাম এ অঞ্চলে প্রচুর বাঙালি বসবাস করে। মসজিদের জন্য বিশাল এলাকা লিজ নেয়া হলেও মূল মসজিদ কিন্তু লোক সমাগমের তুলনায় খুব একটা বড়ো নয়। দূর থেকে একটা দোতলা দালান বলেই মনে হয়। দুতিনটা গম্বুজের সমন্বয়ে এর আনুসংগিক অবকাঠামো আরো সুন্দর এবং প্রশস্থ করার যথেষ্ট সুযোগ ছিলো। জামাত শেষে আমরা বাঙালি মালিকানাধীন একটা বুচার শপে যাই। উদ্দেশ্য হরিণ এবং উটের গোস্ত ক্রয় করা। গিয়ে দেখি উটের গোস্ত সব সোল্ড আউট। অগত্যা হরিণের গোস্ত নিয়ে ফিরে আসি। এসে দেখি বাসার সবাই আমাদেরকে বরণ করার জন্য দাঁড়িয়ে আছে। নাতি-নাতনিদের কে একশো ডলার করে সেলামী দিলে ওরা আমাকে খুশিতে জড়িয়ে ধরে। তাহেরাও মেয়ে, জামাই এবং নাতি নাতনিদেরকে সেলামী দিয়ে খুশি করে। অবশেষে টেবিলে বসে সবাই একসাথে মিস্টিমুখ করে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিই। আমার স্ত্রী তাহেরা দুপুরের খানার ফিরিস্তি শোনালো। ছাগলের কোরমা,পোলাও, গরুর গোস্ত ভুনা এবং মুরগির রোস্ট ইত্যাদি মেয়ে তানিয়াকে নিয়ে রেঁধেছে। ইতোমধ্যে শহিদুল্লাহ বিকেলে কোথাও বেড়াতে যাবার জন্য ছেলে মেয়েদের সাথে বসে প্ল্যান করতে থাকে।
তানিয়ার বাসার পোষা বিড়াল দুটো আড়ষ্টতা কাটিয়ে ইদানীং আমাদের কাছে ভীড়ছে। তাদের মোলায়েম পশম গুলো খুব ই তুলতুলে নরম। সারাদিন ঘরের ভিতর পায়চারি করা, ঘুমের আবেশে সোফায় গা এলিয়ে দিয়ে গড়াগড়ি করা আর ক্ষুধার তাড়নায় মিউ মিউ করা তাদের অভ্যাস। মাঝে মধ্যে আমার গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আগে আগে হেঁটে ওদের জন্য রাখা খানার বাটির দিকে এগিয়ে যাবে। তখন আমি বুঝতে পারি এরা কিছু খেতে চায়। ওয়াশিং রুমে টেবিলের উপর রাখা টিনের বাক্সটা খুলে চনা বুটের দানার মতো দেখতে খাবারগুলো একটা ছোট প্লেটে নিলে বিড়াল দুটো তা খাবার জন্য অস্থির হয়ে পড়ে। এগুলো ছাড়া তারা অন্য কিছুই খাবেনা। এমনকি টেবিলে উঠে কোন খাবার শুঁকে দেখবেনা, মুখও দেবেনা। মল ত্যাগের সময় হলে গ্যারেজে রাখা নির্দিষ্ট কার্টনের বাক্সে বিছানো লিটারে বসে কাজ সেরে আসবে। এটাই তাদের নিত্য দিনের রুটিন। দেখতে দেখতে আমাদের কাছেও নাদুস নুদুস বিড়াল দুটো খুবই প্রিয় হয়ে উঠেছে।
এদিকে সন্ধ্যার কিছু পর পরই বিড়াল প্রেমী আমার মেয়ে তানিয়া হঠাৎ করে পুরো পরিবার নিয়ে ঘর থেকে ছুটে বেরিয়ে গেলো। বাইরে গিয়ে তন্ন তন্ন করে খুঁজে বেড়ালো পরিত্যক্ত বেড়ালের ছানা গুলোকে। ও নাকি ছানাগুলোর কান্নার শব্দ শুনেছে তাই এভাবে ছুটে যাওয়া। নাহ্, পাওয়া যায়নি বিড়ালের ছানা গুলো। পেলে রেসকিউ সেন্টারে দিয়ে আসা যেতো। এই অবুঝ নিরিহ প্রাণী গুলোর জন্য তাদের অফুরন্ত ভালোবাসা মায়া মমতা আমাকে অবাক করে। প্রবাস জীবন সত্যি ই অন্যরকম এক সুখ দুঃখের মিশেল জীবন যেখানে নিজ পরিবার এবং পোষা দুটো সহজ সরল প্রাণীকে নিয়েই তাদের সংসার। এ ছাড়া অন্য কিছু চিন্তা করার কোন অবকাশ নেই। আমার নাতি এবং নাতনি দুটোকে কখনো দেখিনি খাওয়া দাওয়া নিয়ে কোন আবদার বা বায়না ধরতে। তারা যখনি যা পেয়েছে খেয়ে নিয়েছে কোন রকম অজুহাত ছাড়াই।
পরদিন জামাই শহিদুল্লাহ আমাদেরকে নিয়ে প্রায় নব্বই কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত ফিলিপ আইল্যান্ড এর পথে রওয়ানা দেয়। এখান থেকে বিভিন্ন ঘুরপথ পেরিয়ে গাড়ি আঁকা বাঁকা পাহাড়ি সড়ক বেয়ে এগিয়ে চলে। সড়কের পাশে নিয়ন বাতির আলোয় গতির সংকেত দেখাচ্ছে কোথাও আশি আবার কোথাও ষাট। পাহাড়ের ঢালুতে শাক সব্জির বাগান। আবার বিশাল চত্বরে ঘাসের চাদরে জাবর কাটছে রং বেরঙের হৃষ্ট পুষ্ট গরু এবং ঘোড়া। কোথাও আবার অগনিত বেড়ার পাল। পাহাড়ের চূড়ায় সাজানো গোছানো চোখ জুড়ানো খামার বাড়ি। এভাবে ঘণ্টা খানিক চলার পরে সমুদ্রের কাছাকাছি এক জায়গায় এসে আমাদের গাড়ি পার্ক করা হয়। আশে পাশে প্রচুর পর্যটকের সমাবেশ।
পাহাড়ের পাদদেশে বোর্ড ওয়াকের ব্যবস্থা রয়েছে। ঐ সরু রাস্তাটি একেবারে সমুদ্রের কাছাকাছি চলে গেছে। কাঠের রেলিঙের পাশে দাঁড়িয়ে সমুদ্র দর্শণের অপূর্ব দৃশ্য উপভোগ করলাম। সমুদ্রের অনতিদূরে দাঁড়িয়ে আছে বেশ কয়েকটি পাহাড়ের ঢিবি। জোয়ারের অস্থির জলরাশি প্রচন্ড বেগে ধেয়ে এসে সেই ঢিবিতে আঘাত করলে প্রচুর ফেনায় ভরে যাচ্ছে তার আশ পাশ। এই অনিন্দ্য সুন্দর দৃশ্য দেখার জন্যই এতদূর ছুটে আসা। সমুদ্রের পাশে পাহাড়ের ঢালুতে কাঠের পাটাতনে বানানো ছোট ছোট অনেক গুলো ঘর দেখতে পাই। এ অঞ্চলে পেঙ্গুইনরা বাস করে। তাদের জন্য ঐ গুলো তৈরী করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বোর্ড ওয়াকের নিচে বেশ কিছু পেঙ্গুইন দেখা গেলো। কৌতুহলী দর্শকরা তাদের ছবি তুলতে ব্যস্ত। বেশ কিছু সময় ধরে উন্মাতাল ফেনিল জলরাশির খেলা উপভোগ করে আমরা ফিশ এন্ড চিপস এর দোকানে এসে নেমে পড়ি। এখানে নানান জাতের সামুদ্রিক মাছ গ্রিল করে পটেটো চিপস দিয়ে পরিবেশন করা হয়। চাইনিজ দোকানীরা গোটা পরিবার নিয়ে এ ব্যবসায় মনোযোগ দিয়েছে। অতপর আমাদের ফিরার পালা। পাহাড়ের খাঁজ কেটে বানানো প্রশস্ত রাস্তা গুলো এমন সুনিয়ন্ত্রিত ভাবে সাজানো হয়েছে যে এর উপর শত মাইল বেগে গাড়ি চালালে ও বোর ফিল করার কোন অবকাশ নেই। তীব্র গতিতে গাড়ি চালিয়ে কেউ কাউকে পাশ কাটিয়ে চলে যাবে সেই উপায় নেই। কিছু দূরে পর পর ই গতি মাপার ক্যামেরা স্থাপন করা আছে। নির্দিষ্ট গতি না মেনে গাড়ি চালালে পরের সপ্তাহে জরিমানার কাগজ গিয়ে পৌঁছবে বাসার ঠিকানায়। অতএব এব্যাপারে সবাই সতর্ক।
একদিন দুপুরে তানিয়ার বান্ধবীর বাসায় ঈদের দাওয়াত। গিয়ে দেখি এলাহী কারবার। প্রচুর লোক সমাগমের আয়োজন করা হয়েছে। তাদের বাড়ির পিছনে ব্যাকইয়ার্ডে অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য পলিথিনের তাবু টাঙানো হয়েছে। দেখতে দেখতে মেহমানে ভরে গেলো পুরো বাড়িটা। সিনিয়র হিসেবে সবাই আমাকে যথেষ্ট সমাদর করলো। এখানে এসে পরিচিত হলাম জেদ্দা প্রবাসী আমার ছোট মেয়ে আনিকার মামাতো বোনের সাথে। তারা অনেকদিন যাবত এদেশে অভিবাসী। খাওয়া দাওয়া শেষে উপরি পাওনা হিসেবে ঈদের গিফট হিসেবে জামা কাপড় পেলাম। এ গুলো অবশ্য কেবল আমাদেরকেই দেয়া হয়েছে। এ পর্ব সেরে অন্য এক বাসায় যেতে হলো। এখানেও প্রচুর মেহমান। দেশ থেকে ভিজিটর হিসেবে মেয়ের বাসায় বেড়াতে এসেছি শুনে সবাই খুশি হলো এবং অনুরোধ করলো বেশ কিছুদিন যেন এখানে থেকে যাই। খনিকের জন্য বেড়াতে এসে সাক্ষাৎ পাওয়া অপরিচিত এ সমস্ত মেহমানদের সান্নিধ্য আমাকে খুবই মুগ্ধ করে। বিদেশের মাটিতে দেশের মানুষের সান্নিধ্য পেলে তাদেরকে কতটা আপন মনে হয় তা এখানে এসে বুঝতে পেরেছি। রাঙ্গুনিয়া নিবাসী দিদার সাহেব তার বাড়িতে আমাকে অত্যন্ত সমাদর করে আপ্যায়ন করে উপস্থিত মেহমানদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলে আমি তাঁর সহৃদয় সহমর্মিতায় আপ্লুত হলাম।
বিশাল আয়তনের ভূখন্ড এবং সাগর বেষ্টিত দেশ অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশ থেকে প্রায় নয় হাজার কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া খুবই বিচিত্র। মার্চ এপ্রিলে এখানে দুপুরে তাপমাত্রা ত্রিশ ডিগ্রি থাকলেও রাতে পারদ নেমে যায় আট নয় ডিগ্রিতে। আবার মেলবোর্ন এর অদূরে ইয়ারা ভ্যালি জুলাইয়ের শেষে বরফে ঢেকে যায়। ডিসেম্বর জানুয়ারিতে তাপমাত্রা চল্লিশের কোটা পেরিয়ে যায়। অস্ট্রেলিয়ার ছয়টি প্রদেশের মধ্যে ভিক্টোরিয়ার রাজধানী মেলবোর্ন অনেক গুলো উপশহর নিয়ে বেষ্টিত প্রধান নগরী। এখান থেকে প্রতিটি উপশহরে অনায়াসে পৌঁছানোর জন্য রয়েছে অনেক গুলো প্রসস্থ রাস্তা তার মধ্যে ফ্রী ওয়ে নামক রাস্তায় কোন সিগনাল নেই। বাকি গুলো হাইওয়ে নামে পরিচিত। এগুলো বিভিন্ন উপশহরের ভিতর দিয়ে মেলবোর্ন পর্যন্ত চলে গেছে ফলে অনেক গুলো সিগনাল অতিক্রম করে যেতে হয় এবং সময় ও বেশি লাগে। ফ্রী ওয়েতে রয়েছে টোল রোড। এই টোল রোড অনায়াসে অতিক্রম করা যায়। রোড ক্রস করার সময় গাড়ির নাম্বার সয়ংক্রিয় ক্যামেরার সাহায্যে ধারণ করা হয় এবং কিছু দিনের মধ্যেই বাড়ির ঠিকানায় টোলের টাকা গুলো ডিপোজিট করার জন্য ¯িøপ পাঠানো হয়। অত্যন্ত সুন্দর ব্যবস্থা বটে। এদেশের মূদ্রা গুলো অত্যন্ত টেকসই প্রযুক্তিতে প্লাস্টিকের তৈরি। কিন্তু এর ব্যবহার খুব কম। লোকজন কার্ডের ব্যবহারে অভ্যস্ত। সুপার মার্কেট থেকে শুরু করে কফি শপ পর্যন্ত সব জায়গায় মানুষ ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে। এমনকি লোকাল বাস গুলোতে ও এর ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ্যণীয়। অবশ্য বাস গুলোতে ড্রাইভার ভাড়ার জন্য পীড়াপীড়ি করেনা। মাইকি নামক একটা ট্রানজিট কার্ডের মাধ্যমে ভাড়া দিতে হয়। ভাড়া না দিলে ও ড্রাইভার নিশ্চুপ থাকে। স্থানীয় প্রশাসনের তদারকিতে বাস গুলো পরিচালিত হয়ে থাকে। আবার রাইড শেয়ারের গাড়ি গুলো নগদ টাকায় যাত্রী নেয়না। উবার বা ডিডি নামে পরিচিত এসমস্ত বাহনে উঠার জন্য ওদের সাথে অনলাইনে আগেভাগেই নিবন্ধিত হতে হয়। বিল পরিশোধ করতে হয় কার্ডের মাধ্যমে। ফলে নগদ লেনদেনের কারবার এদেশে নেই বললেই চলে।
ইতোমধ্যে তানিয়া কোকাতু ফরেস্ট এ ভ্রমণের জন্য চার বেড রুমের একটা আস্ত বাড়ি বুক করে ফেলে। ডেনডেনং রেঞ্জের গভীর জঙ্গলে অবস্থিত এই বাংলোতে এক রাতের অবকাশ যাপনের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য নিয়ে আমরা রওয়ানা দিই। পাহাড়ের ঢালু বেয়ে আঁকাবাঁকা পথে প্রায় চল্লিশ কিলোমিটার দূরত্বের গভীর অরণ্যে অবস্থিত অবকাশ যাপনে পৌঁছাতে পঁয়ত্রিশ মিনিট সময় লেগেছে। কিন্তু বাংলোর সামনে গাড়ি থেকে নামতেই সবার মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। আলকাতরা দিয়ে লেপ্টানো কাঠের বাড়িটা দেখতে অনেকটা ভুতুড়ে বাড়ি বলেই মনে হয়েছে। আমাদের দেশের গোয়াল ঘর অথবা ধানের গোলার মতো দেখতে লাগে সেটা। বাড়ির সামনে লোক জন কাউকে দেখা গেলোনা। ভিতর থেকে লক করা দরজাটির বাইরে দেয়ালে আটকানো ছোট্ট একটা বাক্সের ভিতর রয়েছে সেই দরজা খোলার চাবি। এখন সেই বাক্সটা খুলতে গেলে প্রয়োজনীয় কোড নাম্বার চাপতে হবে। তানিয়া মোবাইল ঘেঁটে কোড নাম্বার বের করে চাপ দিতে বাক্স থেকে চাবিটা বেরিয়ে এলো। কি আশ্চর্য এতো বুদ্ধি এদের! ঘরের দরজা খুলেতো আমরা হতবাক! এতো পরিপাটি করে সাজানো চার বেড রুমের বাড়ির ভেতরটা যে এতো সুন্দর তা বাইরে থেকে দেখে বুঝার কোন উপায় নেই।
দোতলায় ড্রইং- ডাইনিং- কিচেন এবং একটা বেডরুম বাকিগুলো নিচের তলায়। আমার খুবই আশ্চর্য লাগছে এটা ভেবে যে এতো গভীর জঙগলে এমন পরিপাটি সুন্দর একটা বাংলোবাড়ি তাও আবার সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ এবং গরম ঠান্ডা পানির সুবিধা এতগুলো কিভাবে সম্ভব? এ অন্চলটি রাঙ্গামাটি- বান্দরবানের মতো অরণ্যেঘেরা জনপদ অথচ সব রকম নাগরিক সুযোগ সুবিধায় সমৃদ্ধ। চারিদিকের গাছগাছালিতে বিভিন্ন রঙের কাকাতুয়ার বাস। এদের কিচিরমিচির শব্দে পুরো পরিবেশটাই যেন অন্য রকম আনন্দে ভরপুর।
অরণ্যেঘেরা কোকাতু। পাহাড়ী এলাকটিতে অসংখ্য কাকাতুয়ার বাস। পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে গাছ গাছালীর আড়ালে অবকাশ যাপনের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে সুন্দর সুন্দর বাংলো। চলবে –
লেখক : প্রাবন্ধিক