নিজস্ব প্রতিবেদক
নগরীতে কোরবানির পশুর হাটে সিন্ডিকেট কিংবা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম নিয়ে কারসাজি ঠেকাবে নগর পুলিশ (সিএমপি)। এছাড়া পশুর হাটের পাশাপাশি চামড়া বেচাকেনায়ও সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। ঈদুল আজহাকে ঘিরে যে কোনও ধরনের অরাজকতা ও নৈরাজ্য রোধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং সিটিজেনস্ ফোরামের সঙ্গে সমন্বয় করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
দামপাড়ায় সিএমপি সদর দপ্তরে গতকাল সোমবার সকালে ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত ‘নিরাপত্তা সমন্বয় সভায়’ এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) মো. হুমায়ুন কবির।
সভায় ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে পশুর হাট এবং কোরবানির চামড়া বেচাকেনা নিয়ে নিরাপত্তায় মোট ১০ দফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। এতে র্যাব, জেলা প্রশাসন, চসিক, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা,সিভিল সার্জন, ফায়ার সার্ভিস, ওয়াসা, বাংলাদেশ ব্যাংক, জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সিএমপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোরবানির পশু ও চামড়া কেনাবেচা ও পরিবহন, বাজারে জাল নোটের ব্যবহার রোধ এবং পশুর হাটের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ১০ দফা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসব সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে, কোরবানির পশুর হাটকে কেন্দ্র করে সকল ধরনের চাঁদাবাজি ও খুন-খারাবি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া। কোনও ধরনের গুজব বা অন্য কোনোভাবে যেন কোরবানির পশুর কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি না করা হয়, সে ব্যাপারে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো। পশু বহনকারী গাড়ি আটকে চাঁদাবাজি বন্ধ এবং পশুর হাটে পকেটমার, মলম পার্টি, গামছা পার্টি, ছিনতাইকারীদের তালিকা করে আগে থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া। মহানগর এলাকার স্থায়ী ও অস্থায়ী পশু বাজারের ইজারাদার এবং পশু বিক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সিটি কর্পোরেশনের অনুমোদিত গুরুত্বপূর্ণ পশুর হাটগুলোতে জালনোট শনাক্তে মেশিন স্থাপন। পশুর বাজার কেন্দ্রিক ইজারাদারদের মাধ্যমে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও ড্রোন ব্যবহার নিশ্চিত করা। সড়কে অনুমোদন ছাড়া পশুর বাজার বসতে না দেওয়া। পশুর বাজারের আশপাশে অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিং করে যানজট যেন কেউ সৃষ্টি করতে না পারে, সেদিকে লক্ষ্য রাখা। বাজারে পশুর কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কেউ যেন দাম বাড়াতে না পারে, সেজন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সিটিজেনস্ ফোরাম নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করা। কোনও এলাকায় সিন্ডিকেট তৈরি করে যাতে কোরবানির চামড়া কেনাবেচা না হয়, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা। এছাড়া পশুর বাজার কেন্দ্রিক সার্বিক নিরাপত্তার জন্য নাগরিকদের নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর)- ০১৩২০-০৫৪০৮০ ও উপ-কমিশনার (বন্দর)- ০১৩২০-০৫৪২০০ এবং অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান)- ০১৩২০-০৫২৫১৫, নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক (অপরাধ ও অভিযান)- ০১৩২০-০৫২৫১৫ ও সিএমপির নিয়ন্ত্রণ কক্ষে- ০১৩২০-০৫৭৯৯৮ তথ্য দিতে বলা হয়েছে।