কোরবানিতে চাহিদার চেয়ে ২৩ লাখ বেশি পশু আছে

7

পূর্বদেশ ডেস্ক

এবারের কোরবানির ঈদে চাহিদার তুলনায় ২৩ লাখ বেশি পশু যোগান দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান। কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা এবার ১ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭টি, যা গতবারের চেয়ে ৪ লাখ ৪৪ হাজার ৩৪টি বেশি। আর চাহিদার তুলনায় ২২ লাখ ৭৭ হাজার ৯৭৩টি বেশি। খবর বিডিনিউজের।
ঈদুল আজহা সামনে রেখে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর ফার্মগেইটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এই পরিসংখ্যান তুলে ধরেন মন্ত্রী।
কোরবানিযোগ্য এসব পশুর মধ্যে – ৫২ লক্ষ ৬৮৪টি গরু, ১ লাখ ৬০ হাজার ৩২০টি মহিষ, ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ৫৮টি ছাগল, ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৭৪৩টি ভেড়া ও ১ হাজার ৮৫০টি অন্যান্য প্রজাতির গবাদি পশু।
আব্দুর রহমান বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর কোনো সংকট হবে না এবং কোরবানির পশুর সরবরাহ ও ব্যবস্থাপনায় সরকারের পরিপূর্ণ প্রস্তুতি আছে।
কোরবানির পশুর জন্য অতীতে পর-মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হত। কিন্তু আমরা এখন দেশে উৎপাদিত পশু দিয়েই কোরবানি সম্পন্ন করতে পারছি।
দেশে অবৈধভাবে গবাদিপশুর অনুপ্রবেশ যেন না ঘটতে পারে, সেজন্য সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে আমাদের প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা, খামারি ও উদ্যোক্তারা সম্মিলিতভাবে কাজ করায় প্রাণিসম্পদ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। এ খাতে আমাদের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।
কোরবানির হাটে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার আহবান জানিয়ে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, রোগাক্রান্ত পশু হাটে বিক্রি করতে দেওয়া হবে না। ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ যেন অযথা হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখা হবে। হাটে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত সদস্য নিয়োজিত থাকবেন।
বিগত বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও কোনো খামারি নিজ বাড়ি থেকে পশু বিক্রি করলে তাকে হাসিল দিতে হবে না। কোনো খামারি তার পশু দূরবর্তী হাটে নিতে চাইলে রাস্তাঘাটে জোর করে নামাতে বাধ্য করা যাবে না।
মন্ত্রী বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্থানীয় সরকারের ইউনিট তথা পৌরসভা, উপজেলা বা ইউনিয়ন পরিষদ, সিটি কর্পোরেশন এ বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
গত কয়েক বছরের মত এবারও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সারাদেশে কোরবানির পশু বিক্রির ব্যবস্থা চালু থাকবে। লাভের আশায় কোরবানির অনুপযুক্ত পশু বা রোগাক্রান্ত পশু যাতে কেউ বিক্রির চেষ্টা না করে, সে বিষয়ে সতর্ক করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রতিটি নির্ধারিত কোরবানির পশুর হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম থাকবে। কোরবানির পশু নিরাপদ ও কোরবানি উপযোগী কিনা বা তাদের শরীরে ‘দূষিত পদার্থ’ প্রবেশ করানো হয়েছে কিনা তারা সে বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন।
মহাসড়কে বা যেখানে হাট বসালে যান চলাচল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, এমন কিছু যাতে না হয়, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হবে। সড়কে বা সেতুতে কোরবানির পশুবাহী গাড়িকে প্রাধান্য দেওয়া হবে, যাতে রাস্তায় পশু আটকে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি না হয়।
এক্ষেত্রে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (হট লাইন-১৬৩৫৮) চালু থাকবে। পশুর হাটে কোনো রকম সমস্য হলে হটলাইনে কল করলে প্রতিকারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী।