কর্ণফুলী নদীর ওপর কালুরঘাট রেল কাম সড়ক সেতু নির্মাণ প্রকল্প একনেকে পাস হওয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে বোয়ালখালী-কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদ। ৭ অক্টোবর এক বিবৃতিতে পরিষদের আহব্বায়ক মো. আব্দুল মোমিন, যুগ্ম আহব্বায়ক মুস্তফা নঈম ও সদস্যসচিব রমেন দাশগুপ্ত বলেন, একনেকে পাস হওয়া এ প্রকল্পের দরপত্রসহ আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দ্রæততম সময়ের মধ্যে সেতু নির্মাণের কাজ দৃশ্যমান হবে। পূরণ হবে কোটি মানুষের প্রাণের দাবি। কর্ণফুলী নদীর ওপর জরাজীর্ণ প্রায় শতবর্ষী সেতুটি বারবার জোড়াতালি দিয়ে টিকিয়ে রাখা হয়েছে। কত যে ঘটনা-দুর্ঘটনা, কত মর্মান্তিক পরিণতির সাক্ষী, সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
বোয়ালখালী-পটিয়াসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের প্রাণের দাবি নতুন একটি সেতু নির্মাণ বিষয়ে অন্তত সাড়ে তিন দশক ধরে বোয়ালখালী-কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদসহ সর্বস্তরের নাগরিকরা দাবি জানিয়ে আসছিলেন। নতুন সেতু হলে বাংলাদেশের পর্যটন নগরী কক্সবাজার, বান্দরবান পার্বত্য জেলা, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর হবে। এ সেতু দক্ষিণ চট্টগ্রামকে পুরো দেশের সঙ্গে সংযুক্ত করবে। চাপ কমাবে চট্টগ্রাম শহরের আবাসন সংকটের ওপরও। এ সেতুর কারণে বোয়ালখালী ও পটিয়ার পূর্বাংশে নতুন নতুন শিল্পকারখানা গড়ে উঠবে।
সেতু আন্দোলনের শুরু থেকেই চট্টগ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও গণমাধ্যমকর্মীরা যেভাবে সর্বাত্মক সহযোগিতা ও সমর্থন দিয়েছেন তাদের সবার প্রতি পরিষদের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানান তাঁরা। বিজ্ঞপ্তি