‘কোচ বদলায়, বোর্ড বদলায় না কেন?’

41

বিশ্বকাপে আশানুরূপ ফল না হওয়া, সঙ্গে খেলোয়াড়দের শাসন করতে না পারার দায়ে জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ স্টিভ রোডসকে বিদায় জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশের সঙ্গেও চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে না। ছাঁটাইয়ের তালিকায় আছেন ফিজিও থিহান চন্দ্রমোহনও। শোনা যাচ্ছে স্পিন বোলিং কোচ সুনীল যোশীকেও বিদায় জানাতে পারে বিসিবি। অর্থাৎ, টাইগারদের কোচিং স্টাফদের বড় অংশই বদলে ফেলছে বিসিবি।
আইপিএল-বিগব্যাশের যুগে হাই প্রোফাইল কোচ পাওয়া বেশ কষ্টসাধ্য, তা ভালোই বোঝেন বিসিবি কর্তারা। তবু, নানা সমালোচনা সত্তে¡ও বছরে বছরে কোচ বদলানোর ঘটনা ঘটছেই। এতে ক্ষুব্ধ দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা।
সমালোচকদের দলে এবার যোগ দিয়েছেন বিসিবির সাবেক সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী। বারবার কোচ বদলালেও যারা তাদের নিয়োগ দিচ্ছেন, সে কর্তাদের মধ্যে কোনো পরিবর্তন হয় না কেন, এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
স¤প্রতি টুইটারে সাবের হোসেন চৌধুরী লিখেছেন, গত আট বছরে ছয় হেড কোচকে বিদায় করেছে বিসিবি- সিডন্স, ল, পাইবাস, জার্গেনসন, হাতুরেসিংহে, রোডস। কোচরা আসে-যায়, কিন্তু যারা তাদের পছন্দ করে নিয়োগ দেন, তারা থেকে যান। বোর্ড কেন জবাবদিহিতার বাইরে থাকবে?
১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন সাবের হোসেন চৌধুরী। তার সময়কালীন ২০০০ সালের জুন মাসে বাংলাদেশ আইসিসির পূর্ণ সদস্য পদ ও টেস্ট স্ট্যাটাস পায়। বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়ন ও বিশ্ব ক্রিকেটে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০২ সালে লন্ডনে মেরিলিবোর্ন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) আজীবন সদস্যপদ পান তিনি।