পূর্বদেশ ডেস্ক
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সব হল খুলে দেওয়া হয়েছে। কুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এস কে শরিফুল আলম গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে বলেন, আজকে সিন্ডিকেট সভায় ৩৭ জন শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে সিন্ডিকেট সভা শেষে রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আনিসুর রহমান ভুঞা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হলগুলো মে মাসের ২ তারিখে খোলার কথা ছিল। কিন্তু সিন্ডিকেট সেগুলো বুধবারই (গতকাল) খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগের কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শাহেদুজ্জামান শেখ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে, ৩৭ জনের বহিষ্কারদেশ প্রত্যাহার ও হল খুলের বিষয়টি জানানো হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৪ মে শুরু হবে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে গতকাল সকাল পৌনে ১০টার দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সি আর আবরার কুয়েট ক্যাম্পাসে পৌঁছান। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যবিরোধী ¯েøাগান দিতে থাকেন। পরে প্রায় ৪০ মিনিট অনশনরত ও অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন শিক্ষা উপদেষ্টা।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা শেষে শিক্ষা উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে, পরিস্থিতি এ পর্যায়ে এসে গেছে। ছাত্রদের অনশন করতে হচ্ছে। আমি এখানে একজন পিতা হিসেবে এসেছি। আমি তাদের বলেছি যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছে তারা যেন পানি পান করে। আর যারা সুস্থ আছে, তারা অনশন পালন করুক। কিন্তু তারা সেটা শুনেনি।
উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রæয়ারি সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বহিরাগতদের সংঘর্ষের ঘটনার পর ৬ দফা আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট ক্যাম্পাস ও হল বন্ধ ঘোষণা করে। হামলার ঘটনায় কুয়েট প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা হয়েছে পাশাপাশি ঘটনা সঙ্গে জড়িত সন্দেহের ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। অন্যদিকে কুয়েট ক্যাম্পাসের বাইরের একজন বহিরাগত ২২ জন শিক্ষার্থীকে নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করে।
গত ১৩ এপ্রিল সাধারণ শিক্ষার্থীরা হল খুলে দেওয়ার দাবিতে পুনরায় আন্দোলন শুরু করে। কিন্তু কোনো সাড়া না উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে সোমবার বিকাল থেকে শিক্ষার্থীরা অনশন শুরু করেন। সেদিন ৩২ জন শিক্ষার্থী অনশন শুরু করলে ইতোমধ্যে পাঁচজন অসুস্থ হয়ে মেডিকেলে ভর্তি হয়েছেন।