কুমিল্লার কোটবাড়ি এলাকার কৃষক জসীম উফদ্দনের ভাগ্য বলতে দুটো গরু আর কিছু জমি। ধার করা জমিতে ধান আর সবজি উৎপাদন করে নিজের সন্তানদের পড়ালেখা চালানোর পাশাপাশি প্রতিবছর দেশের অর্থনীতিতেও বড় ভূমিকা রাখছেন খেটে খাওয়া এই মানুষ।
শুধু কি জসিম? কামাল হোসেন, মনা মিয়া, মিজানুর রহমানসহ এমন অন্তত আরও ৮/১০ জন কৃষক রয়েছেন, যারা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে হালচাষ করে নীরবে কৃষি বিপ্লব ঘটিয়ে চলেছেন। ক্লাসরুমের পড়ার বাইরে অভিজ্ঞতামূলক জ্ঞান অর্জন করতে বাংলাদেশ অ্যাকাডেমি ফর রুরাল ডেভেলপমেন্ট (বার্ড) ঘুরে এলো চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির (সিআইইউর) বিজনেস স্কুলের মেধাবী শিক্ষার্থীরা। ৭ দিনব্যাপী লিভ ইন দ্যা ফিল্ড এক্সপেরিয়েন্স (এলএফই) কার্যক্রমের আওতায় সম্প্রতি কুমিল্লার অতি পুরোনো এই এলাকায় গ্রামীণ অর্থনীতির সঙ্গে পরিচিত হতে সেখানে যান তারা। কথা বলেন কৃষির সঙ্গে জড়িত স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে, তথ্য সংগ্রহ করেন আশপাশের বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের। সিআইইউর বিজনেস স্কুল জানায়, পুরো কার্যক্রমে মোট ৯০জন ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করেন। গ্রামীন মানুষের জীবনযাত্রা ও তাদের অর্থনীতি জানতে সরাসরি মাঠে গিয়ে কাজ করেছেন। এই ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা বেছে নিয়েছেন কুমিল্লার বার্ড ও সেখানকার ৪টি জনবহুল গ্রাম। গবেষণা করেছেন ৫টি বিষয় নিয়ে।
এগুলো হলো: গ্রামের মানচিত্র অঙ্কন, সামজিক পরিবর্তন ও লিঙ্গভিত্তিক শ্রমবিভাজন, গ্রামীন অর্থনীতি ও উৎপাদন ব্যবস্থা, গ্রামীন স্বাস্থ্য ও পরিবেশ এবং গ্রামীন বাজার বিশ্লেষণ। পুরো টিমের তদারকি করেছেন সিআইইউর বিজনেস স্কুলের ডিন ড. মোহাম্মদ নাঈম আব্দুল্লাহ, সহকারি অধ্যাপক রাহাত বারী তুহিন, কামরুদ্দিন পারভেজ ও প্রভাষক সায়ীদ হাসান। জানতে চাইলে সিআইইউর বিজনেস স্কুলের ডিন ড. মোহাম্মদ নাঈম আব্দুল্লাহ বলেন, অর্থনীতির চালিকাশক্তি হয়ে গ্রাম এখনও নীরবে কাজ করে যা”েছ। সময়ের পরিবর্তনে গ্রামীণ অর্থনীতিরও বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। আমরা তৃণমূল মানুষের জীবনযাপন ও কৃষিতে তাদের অবদানের সঙ্গে ছাত্র-ছাত্রীদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। সিআইইউর বিজনেস স্কুলের শিক্ষার্থী মঈনুল ইসলাম বলেন, আমি মনে করি গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা করতে হলে বাধাগুলো দূর করতে হবে। সহজ শর্তে মূলধন জোগান নিশ্চিত করতে পারলে অনেক মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে। খবর বিজ্ঞপ্তির